১৯ বছর পর এলো বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের চিঠি, পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক হয়রানি

top Banner

এম মাঈন উদ্দিন

মিরসরাইয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বিল নিয়ে শত শত গ্রাহক হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিল পরিশোধ করার পরও পরবর্তী মাসে রবিলের সাথে পরিশোধ করা বিল সংযুক্ত করে দেয়ায় গ্রাহকরা হয়রানি শিকার হচ্ছেন। গত বেশ কয়েক মাস ধওে বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা বিল নিয়ে এ ধরনের ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

উপজেলার ১২ নং খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর গ্রাহক পলাশ দাস ফেব্রæয়ারি মাসের বিল গত ৯ মার্চ, সুকুমার দাসের বিল গত ১০ মার্চ, রবীন্দ্র দাসের বিল গত ১০ মার্চ, প্রদীপ কর্মকার গত ১০ মার্চ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুমোদিত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে। কিন্তু মার্চ মাসের বিলের সাথে পরিশোধ করা ফেব্রুয়ারি মাসের বিল সংযুক্ত কওে পাঠানো হয়েছে। মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব মিরসরাই এলাকার গ্রাহক খোরশেদ আলম ফেব্রæয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিল গত ২১ মার্চ অনুমোদিত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। কিন্তু মার্চ মাসের বিলের সাথে পরিশোধ করা ফেব্রæয়ারি মাসের বিল সংযুক্ত করে পাঠানো হয়েছে। এরপর তিনি পরিশোধ করা বিল নিয়ে মিরসরাই জোনাল অফিসে এসে সংশোধন করে মার্চ মাসের বিল জমা দিয়েছেন।

উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া গ্রামের শেখ সামশুদ্দিনের নামে ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে ৩১৪ টাকা ও একই বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাসে ৫১৭ টাকা বকেয়া বিলের চিঠি প্রেরণ করেন। শেখ সামশুদ্দিনের নাতি জিহান উদ্দিন পিনন বলেন, আমার দাদা মারা গেছে অনেক আগে। তখনকার বিলও পরিশোধ করা ছিল। ১৯ বছর পর কিভাবে বকেয়া বিলের জন্য চিঠি আসে বুঝতেছিনা।

চন্দন শর্মা নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ অফিস শুধু মার্চ মাসে নয় এর আগে তার গত জানুয়ারি মাসের বিলে ২০২০ সালে পরিশোধ করা দুই মাসের বিল সংযুক্ত কওে পাঠানো হয়। পওে পরিশোধ করা বিল দুইটি খুঁজে বের কওে বিদ্যুৎ অফিসে এসে সংশোধন কওে জানুয়ারি মাসের বিল পরিশোধ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, গ্রাহক বিল পরিশোধ করার পরও আবার ওই বিল পরবর্তী মাসেরবিলের সাথে সংযুক্ত কওে দিলে অনেকেই না বুঝে বিল জমা দিয়ে দেয়। এতে গ্রাহকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আবার অনেকেই গ্রাহক রয়েছে বিল পরিশোধের পর বিলের রশিদ হয়তো সংরক্ষণ কওে রাখেনি। পরবর্তীতে কখনও পরিশোধ করা বিল সংযুক্ত করেদিলে ওই গ্রাহক বাধ্য হয়ে সব বিল পরিশোধ করতে হয়।

পলি রানী নামে এক গ্রাহকজানান, তারা সুবিধার জন্য ব্যাংকের মধ্যেমে বিল জমা দেন। কিন্তু পরিশোধ করা বিল সংযুক্ত কওে দিলে অর্থ ও সময় নষ্ট কওে সদরের জোনাল অফিসে গিয়ে তা সংশোধন কওে বিল জমা দিতে হয়। বিল নিয়ে এমন হয়রানি বন্ধে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেয়া বিলগুলোর তালিকা অফিসে আসতেি বলম্ব হওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। আবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেয়া বিলগুলো অফিসের নিজস্ব সার্ভাওে এসে জমা হতে বিলম্বের কারণেও এমনটি হতে পারে। তা না হলে পরিশোধ করা বিল পরবর্তী বিলে সংযুক্ত হওয়ার কথা নয়। তবে সমস্যা গুলো সমাধানে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

আরো খবর