করেরহাট ও আশপাশের এলাকায় পাহাড় কাটছে প্রভাবশালী চক্র
রাজু কুমার দে
মিরসরাইয়ে বারইয়ারহাট-রামগড় সড়কে ব্রীজ ও কালভাটের পাশে এপ্যোচ সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে পাহাড়ী মাটি। উপজেলার করেরহাটসহ এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রভাবশালীদের দিয়ে এসব মাটি সরবরাহ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল। পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বারইয়ারহাট-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণে ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত বছরের আগস্টে একনেকের সভায় এই অর্থের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকার দেবে ২৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ভারত সরকার ঋণ দেবে ৫৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে এখনো সড়ক প্রশস্তকরণের দরপত্র আহবান করা হয়নি।
এদিকে জাইকার অর্থায়নে রামগড় থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত ১৬টি ব্রীজ ও কালভার্টের কাজ পেয়েছে সিপিসিএল। ব্রীজ ছাড়াও ব্রীজের পাশে ২০০ থেকে ৩০০ মিটার এপ্যোচ সড়কের কাজ করবে ওরা। কিন্তু ব্রীজের পাশে এপ্যোচ সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ী মাটি। করেরহাটের একাধিক সিন্ডিকেটকে দিয়ে এই মাটি সরবরাহ করছে সিপিসিএল। শুধু পাহাড়ী মাটি নয় কৃষি জমির টপচয়েল ও সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। করেরহাট ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস, অলিনগরসহ এর আশপাশের পাহাড় থেকে মাটিগুলো সংগ্রহ করছে মাটি খেকোরা। এর আগে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার কৃষি জমির মাটি কাটায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করে।
অন্যদিকে নিদিষ্ট সময়ে ব্রীজ ও সড়কের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো অনেক স্থানে কাজ শেষ হয়নি।
তবে ঠিকারদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএলের সাইট ম্যানেজার হাবীবুর রহমানের দাবি করোনার কারণে কাজে ধীর গতি এসেছে। শ্রমিকরা ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর করোনা কারণে আসছে না। তাই নিদিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিকরণের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
করেরহাট এলাকার লক্ষীছড়া ব্রীজ এলাকায় মাটি বুঝিয়ে নেয়া সিপিসিএলের মাঠ প্রকৌশলি জসিম উদ্দীন জানান, যারা মাটি দেয়ার কন্ট্রাক নিয়েছে যারা মাটি কোথায় থেকে আনবে সেটা আমাদের জানান বিষয় নয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান জানান, পাহাড় কাটা আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। শীঘ্রই এই বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।