দুবাইতে জনপ্রিয় মিরসরাইয়ের রহিমের বোরকা হাউজ

top Banner

শারমিন রিমা

ভাগ্যের চাকা ফেরাতে প্রায় ১৭ বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশি প্রবাসী মো. রহিম উদ্দিন। সেই যাত্রার শুরুটা হয়েছিল চাকরির হাতে ধরে আর তাও মধ্য প্রাচ্যের প্রধান ব্যবসায় কেন্দ্র দুবাইতে। সময়ের সাথে সাথে একনিষ্ঠ পরিশ্রম, সততা ও যোগ্যতা বলে নিজের অবস্থান সুসংহত ভাবে তৈরি করে নিতে সক্ষম হন এই বাংলাদেশি প্রবাসী। একসময় চাকরিজীবী থেকে গড়ে তোলেন নিজস্ব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। আরব মরুভূমির শহর দুবাইতে স্থান করে নেয় রহিমের ‘দুনিয়া আল ক্লোথস ট্রেডিং’ নামের বোরকা হাউজ। এই বোরকা হাউজে পোশাকের ক্রেতাচাহিদা দুবাই ছাড়াও লিবিয়া ও ইরাকেই সবচেয়ে বেশি।

দুনিয়া আল ক্লোথস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারীর মো.রহিম উদ্দিনের জন্ম চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায়। শেষে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়েছেন মাদ্রাসা লাইনে। তার সেই দীর্ঘ সংগ্রামী সময়ের পথচলার গল্প জানিয়েছেন চলমান নিউইয়র্কে।

পারস্য উপসাগরীয় উপকূলের এ শহরে কীভাবে নিজেকে থিতু করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মো. রহিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার এক আংকেলের মাধ্যমেই ২০০৪ সালে দুবাইতে আসি এবং প্রথমে চাকরি শুরু করি। পরে ভালোভাবে কাজ আয়ত্তে এনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই। নিজের ব্যবসায় শুরু করার প্রচেষ্টা চালাই। তারপর ২০১১ সালে আমার এ প্রতিষ্ঠানের পথচলা শুরু। নানা চড়াই-উতরাই পার করে টানা ১০ বছর এ পোশাকের জগতে কাজ করছি। ‘

বোরকা ব্যবসায়ের প্রসারের বিষয়ে তরুণ এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘ শুরু থেকেই আল্লাহর রহমতে ভালোভাবেই ব্যবসায় করতে পেরেছি। বর্তমানে আমার এ প্রতিষ্ঠানে তিন জন বাংলাদেশি কর্মী এবং দুইজন ভারতীয় কর্মী কর্মরত আছেন। তবে গেল কয়েকবছর এ ব্যবসায়ে অনেকটা মন্দাভাব চলছে। বিশেষ করে লিবিয়া যুদ্ধের কারণে লিবিয়া ও ইরাকের প্রায়ই কাস্টমার হাতছাড়া হয়ে যায়। আবার করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক প্রভাব দুবাইতেও পড়েছে। এ কারণে আমার দুটো দোকান থেকে একটা দোকান ছেড়ে দিতে হয়েছে এবং যার কারণে এখানেও কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। তবুও চেষ্টা করছি করোনার ধাক্কা সামাল দিয়ে কাজ করে যেতে।’

এদিকে, বিশ্ববাজারে দুবাইয়ের বোরকার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং সেই সাথে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। চাহিদা বাড়ায় এখন দুবাইতে স্থানীয়ভাবেই বোরকা তৈরি করছেন দুনিয়া আল ক্লোথস ট্রেডিং।

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রসঙ্গে মো. রহিম উদ্দিন বলেন, ‘ আমি চাই বিশ্ববাজারে দুবাইয়ের এই বোরকার আরও পরিচিত হোক। বিশ্বজুড়ে এর প্রচার-প্রসার ঘটুক। করোনার কারণে যদিও অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে গেছি। সামনে নিশ্চয়ই ভালো কিছু আশা করি। ‘

আরো খবর