এম মাঈন উদ্দিন
ফেনী নদীতে আরো একটি সেতু নির্মিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরকে পার্শ্ববর্তি ফেনী জেলার শিল্প নগরের অংশের সাথে সংযোগ হয়ে নোয়াখালীর সাথে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার নব দীগন্তের সূচনার দ্বার এখন সময়ের বিষয় মাত্র।
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপরে চার লেনের আরো একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেতুটি হবে ২৪৫ মিটার দীর্ঘ।
জানা গেছে, ফেনী নদীর উপর এই সেতু নির্মিত হলে মিরসরাই, সীতাকুন্ড অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে ফেনীর সোনাগাজী অর্থনৈতিক অঞ্চলের সংযোগ স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে তথা পুরো বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।‘সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ চলমান প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি করে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৬৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ফেনী নদীর ওপরে অতিরিক্ত আরো দুটি সেতু নির্মাণে প্রকল্পের ব্যয় আরো ৩৯ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৭০২ কোটি টাকা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি মাস থেকে চলমান প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এখন প্রকল্পের মেয়াদও ২ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে।
এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা ইউনিট) শেখ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, চলমান প্রকল্পের আওতায় একটি ফোর লেন সেতু নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে আরো একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কারণেই মূলত চলমান প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, পর্যটন শিল্প, উৎপাদনমুখী কারখানাসহ সমুদ্র শিল্প গড়ে তোলা ও জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি করাসহ নানা কারণে প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিনিয়োগ বাড়বে এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। হাট-বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘাট, কৃষি, অকৃষি পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র ইত্যাদির সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন, আমদানি-রফতানির গতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা হবে।
মূল প্রকল্পে একটি ৫৫০ মিটার ব্রিজের সংস্থান ছিল। কিন্তু আরও একটি ২৪৫ মিটারের নতুন সেতুর প্রস্তাব করা হয়েছে। হালনাগাদ রেট সিডিউলের কারণে পূর্ত কাজের ব্যয় বৃদ্ধি, বেতনভাতাসহ পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি, পরামর্শক সেবা খাতের ব্যয় ও প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তির লক্ষ্যে ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে।