করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘ দিন প্রতিটি বিষয়ে ৬০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হতো। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে ৬০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে মিরসরাই উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ২১ আগষ্ট থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। শেষ হবে ২৮ আগষ্ট।
গত ১৪ আগষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোভিড পরিস্থিতির অব্যবহিত পূর্বে যেভাবে প্রতি প্রান্তিকে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরে সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতো সেভাবে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক চলমান মিরসরাইকে বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষায় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনাকে অমান্য করা হচ্ছে। ১০০ নম্বরের প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ৬০ নম্বরে।
শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা বার বার উপেক্ষিত হওয়ার ঘটনায় মিরসরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপ দায় দিচ্ছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, পরীক্ষা নিয়ে এমন বিভ্রান্তি কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। শিক্ষা অফিসের সমন্বয়হীনতার কারণে এমন বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
এর আগে প্রথম প্রান্তিকের পরীক্ষায়ও মানা হয়নি শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা। প্রথম প্রান্তিকের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয়েছে ৬০ নম্বরের পরীক্ষা। পরবর্তীতে ১০০ নম্বরকে ৬০ নম্বরে রুপ করে মুল্যায়ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করতে হয়। ৬০ নম্বরের প্রশ্নপত্র প্রস্তুতের পর অধিদপ্তরের নির্দেশনা আসে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে। এর মধ্যে প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ শেষ হয়। নতুন করে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হলে সময় এবং অর্থ দুটোই ব্যয় হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব হবে। তাই সরকারী নির্দেশনা অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি।
মিরসরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম ফজলুল হক বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়ার আগে ক্লাস্টারভিত্তক প্রশ্ন তৈরী করা হয়েছিলো। তাই নতুন করে ১০০ মার্ক এর প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করা যায়নি। সেজন্য ৬০ মার্কেও প্রশ্নে দ্বিতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ৬০ মার্কের পরীক্ষা নেওয়া হলেও প্রশ্নগুলোকে ১০০ মার্কে কনভার্ট করা হবে। অর্থাৎ প্রশ্নগুলোর নম্বর মান ১০০ নম্বর হিসেবে মুল্যায়ন করা হবে।