রাজু কুমার দে: মিরসরাইয়ে একটি সড়কের জন্য দূর্ভোগে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। পুকুর নাকি সড়ক এটি দেখে বোঝার উপায় নেই। সড়কের জমে থাকা হাটুঁ সমান পানিতে খেলা করছে হাঁস। এছাড়া সড়কের পাশে একটি সেফটি ট্যাংকির ময়লা ছেড়ে দেয়ায় দূর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়েছে। সড়কটির নাম ডাঃ রুহুল আমিন সড়ক। এটি মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম হিঙ্গুলী গনকছরা গ্রামে অবস্থিত।
জানা গেছে, প্রায় ১ কিলোমিটারের সড়কের অর্ধেকেই সারা বছর থাকে পানিতে নিমজ্জিত। হাঁটু পানি জমে থাকায় পশ্চিম হিঙ্গুলী গনকছড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষকে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলতে হয়। ওই এলাকায় রয়েছে প্রায় ১৩০০ ভোটার। যারা প্রতিনিয়ত সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। শুধু তাই নয় ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে ধুমঘাট হাজি চাঁন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় গনকছরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে গিয়ে ডাঃ রুহুল আমিন সড়কে দেখা যায়, সড়কে জমে থাকা হাঁটু পরিমান ময়লা পানিতে হাঁস চড়ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ সড়কের পাশে থাকা পুকুর পাড় দিয়ে যাতায়াত করছে।
স্থানীয় শিক্ষার্থী নিলয় বদ্ধন জানান, প্রতিদিন ময়লা পানি মাড়িয়ে কলেজে যেতে হয়। এছাড়া সড়কের পাশে আলমগীর হোসেনের ভবনের সেফটি ট্যাংকির ময়লা পানির দূগন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে।
স্বপ্না রায় নামে এক মহিলা জানান, কিছুদিন আগেই তার ছোট ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান গিয়েছে। সড়ক ভালো না থাকায় ২০ হাজার টাকা ভাড়া তিনি বিয়ের অনুষ্ঠান স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছে। নানু পালিত নামে এক বৃদ্ধ জানান, গত প্রায় ৭ বছর ধরে সড়কের এমন অবস্থা হলেও জনপ্রতিনিধিরা কোন খোঁজ খবর নেয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, তিনি নির্বাচিত হয়েছেন কয়েক মাস হয়েছে। বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। এছাড়া ভবন মালিক আলমগীরকে দ্রুত সেফটি ট্যাংকি সংস্কারের অনুরোধ করেছেন।
জানতে চাইলে হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনা মিয়া সওদাগর বলেন, স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি অবগত করার পর সড়কটি সংস্কারের একটি প্রজেক্ট প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে।