সাফায়েত মেহেদী: ২৪ এতিম শিশুর পড়াশুনার দায়িত্ব নিল আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল ওয়ান এবং দেশীয় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম। অরফান সাপোর্ট প্রোজেক্ট ইন বাংলাদেশের আওতায় এই শিশুদের পড়াশুনার দেখভাল করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) এসব শিশুর মাঝে প্রথম দফায় খাদ্য, শিক্ষা সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। এই ২৪ জন শিশুর মধ্যে ১৪ জন মিরসরাই ও ১০ জন সীতাকুন্ডের বাসিন্দা।
এর মধ্যে সকাল ১০ টায় ভাটিয়ারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সীতাকুণ্ডের শিশুদের এবং বিকেল ৩ টায় মিরসরাই পৌরসভা কার্যালয়ে মিরসরাইয়ের শিশুদের হাতে খাদ্য, শিক্ষা সামগ্রী এবং নগদ টাকা তুলে দেন প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাবৃন্দ।
মিরসরাই পৌরসভা কার্যালয়ে সহায়তা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ওয়ানের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তানজিনা আকতার, বিএসআরএমের হেড অব সিএসআর তারেকুল কবীর, মিরসরাই পৌরসভার প্রধান সহকারী অফিসার সাইফুল ইসলাম, মিরসরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিপুল দাশ, বিএসআরএমের সিএসআর টিমের সদস্য আরিফুল ইসলাম।
অন্যদিকে সীতাকুন্ডের শিশুদের সহায়তা বিতরণের উদ্বোধন করেন ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন।
এসময় প্রতিটি শিশুকে নগদ অর্থসহ ৩০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল, ২ লি সয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম মিল্ক পাউডার, ৪ কেজি আটা, মসলা , ২ কেজি পেয়াজ,২ কেজি আলু, ২ কেজি লবন , ৫০০ গ্রাম চা পাতা ,৷ ২ কেজি চিনি, ৬ টি খাতা, ১ প্যাকেট রং পেন্সিল ও ৬ টি কলম প্রদান করা হয়।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা গ্লোবাল ওয়ানের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তানজিনা আকতার বলেন, ‘মূলত এতিম শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আমরা অরফান সাপোর্ট প্রোজেক্ট ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছি। এর আওতায় আমরা ১০ বছরের কম বয়সী এতিম শিক্ষার্থীদের বাছাই করি। পরে তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা করি। এই ২৪ জন শিশুকে নিয়ে আমরা চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রথম কাজ শুরু করলাম। এই কাজে যৌথভাবে আমাদের সাথে আছে দেশীয় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম।’
বিএসআরএমের হেড অব সিএসআর তারেকুল কবির বলেন, ‘এসব শিশুদের ধারাবাহিকভাবে প্রতি ৩ মাস পর পর সহায়তা দিব আমরা। পাশাপাশি তাদের কারিগরি শিক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনাও আমাদের আছে। এক্ষেত্রে তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের যাতে কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে না হয় সেসব বিষয় নিয়েই আমরা কাজ করবো।’