সালাউদ্দিন মাহাদী
চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলীতে একটি দোকানে কাজ করতেন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম উদ্দিন রাশেদ। পিতা কোব্বাত আহমেদ ৯ মাস ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে গেলো বছরের ৪ মে মারা যান। পিতার চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়েছে তার পরিবার।
এর মধ্যে দুটি কিডনি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ভারত এবং দেশে চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এই টাকা যোগাড় করতে গিয়ে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন প্রায় দুই লাখ টাকা।
পিতার মৃত্যুর পর সর্বস্ব হারানো রাশেদ যখন পরিবারের হাল ধরেছিলেন এমনই সময়ে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার উপার্জিত আয় ছিলো পরিবার চালানোর প্রধান উৎস। দুইভাই দুইবোনের মধ্যে রাশেদ সবার বড়। বর্তমানে তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ১ মাস ধরে এই রোগীর কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না টাকার অভাবে। পরিবার চলতেও হিমশিম অবস্থা।
চিকিৎসক জানিয়েছে মুসলিম উদ্দিন রাশেদকে সপ্তাহে দুইবার কিডনি ডায়ালসিস করতে হবে অনির্দিষ্ট কাল। প্রতিবার ডায়ালসিস করতে লাগে ২৫০০ টাকা।
রাশেদের জেঠা জাহেদুর রহমান বলেন,” বর্তমানে চিকিৎসার খরচ দূরে থাক তাদের পরিবারের খরচও জুটছেনা। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় কোনোরকম দিন যাচ্ছে।
২নং হিঙ্গুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হারুন উক্ত সমস্যা বিবেচনা করে সকলের কাছে মানবিক সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের মতে তার দুইটা কিড়নির মধ্যে একটা বাধ্যতামূলক প্রতিস্থাপন করা জরুরী। না হয় তার জীবন হুমকির মুখে। এতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার দরকার।
রাশেদের মা হালিমা খাতুন বলেন, ” তার ছেলে দীর্ঘ ১৫ বছর পরিবারের হাল ধরেছেন। তাদের জমানো টাকা, সম্পদ যা ছিলো তার স্বামীর চিকিৎসায় সব শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে ছেলের অসুস্থতার কারণে আয়ও বন্ধ। বর্তমানে তার ছেলে জীবনযুদ্ধে লড়াই করছে। ছলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে তিনি মানবিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।
বিকাশ-০১৭৩২০৫০১১১(রোগীর বিকাশ একাউন্ট)
রোগীর সাথে যোগাযোগ – ০১৮২০০৬২৭৭৭