চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত অন্তত ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন শামসুল আলম (৬৫), ফরিদ (৩৬), রতন লখরেট (৪৫), আব্দুল কাদের (৫৬) ও মো. সালাউদ্দিন (৩৩)। অপর ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহত ৩৩ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ১. ফোরকান আলী (৩৩), ২. মো. নূর হোসেন (৩০), ৩. মোতালেব (৫২), ৪. মো. আরাফাত (২২), ৫. মাকসুদুল আলম (৬০), ৬. মো. ওসমান (৪৫), ৭. মো. সোলায়মান (৪০), ৮. মো. রিপন (৪০), ৯. মো. আজাদ, ১০. মো. রিপন মারুফ (৬০), ১১. প্রবেশ (৪০), ১২. নারায়াণ ধর (৬৪), ১৩. মো. জসিম (৫০), ১৪. ফেন্সি (২৬), ১৫. মো. জাহেদ (৩০), ১৬. মুজিবুল হক (৪৫), ১৭. রোজী বেগম (২০) ও ১৮. নাসিম শাহরিয়ার (২৬)।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে- পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৫ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ ও কুমিরা স্টেশনের দুটি টিম উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তবে এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত হতাহত কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ভোর ৬টার দিকে কিছুক্ষণ কাজ করা হয়েছে। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।