চলমান রিপোর্ট
মিরসরাইয়ের ইছাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম ভূঁইয়া। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৭৭ সালে হাইস্কুলে ৭ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই সময়ে গ্রামে ছাত্রলীগের কোন কমিটি না থাকলেও দলের সাংগঠনিক নানা কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত থাকতেন তিনি।
স্কুল জীবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যে সম্পৃক্ততা তা থেকে বিচ্যুত হননি একটি মহুর্ত্বও। ২০০১ সালের পরবর্তী সময়ে বিএনপির শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্মম নির্যাতনের সেই কঠিন দু:সময়েও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন দলের সাথে। ওই সময়ে ইছাখালীতে দলের হাল ধরার তেমন কেউ ছিলোনা।
মিরসরাইয়ের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক তথা বীর চট্টলার অবিসংবাদিত নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ২০০৩ সালে ইছাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন তার হাতে। সেই কঠিন দু:সময়ে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে তিনি দলের জন্য নিবেদিত ভাবে কাজ করে গেছেন। এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ ১৬ বছর। এরপর ২০১৯ সাল থেকে তিনি ইছাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মিরসরাইয়ের ইছাখালীর সন্তান আবুল কাশেমের দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় কখনো দলীয় পদ পদবী কিংবা ব্যক্তিগত লোভ লালসা স্পর্শ করেনি। নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করেছেন দলের সাংগঠনিক ভীত মজবুত করতে। মিরসরাইয়ের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্বপ্নের মিরসরাই গড়ার যে অভিযাত্রা, তার একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যেতে চান আমৃত্যু।
রাজনীতির দীর্ঘ এই পরিক্রমায় আরো বড় পরিসরে কাজ করতে চান আবুল কাশেম। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইছাখালী ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। তার বিশ্বাস দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের প্রতিদান তিনি পাবেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়ে সন্ত্রাস মাদক ও জঙ্গিবাদমুক্ত ইছাখালী গড়তে কাজ করবেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে আবুল কাশেম চলমান মিরসরাইকে বলেন, ছাত্রজীবন থেকে দলের সাথে সম্পৃক্ত আছি। রাজনীতি, সমাজনীতি আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। জনগনের কল্যানে কাজ করা আমার ব্রত। আমৃত্যু সামাজিক এবং মানবিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চাই। আমি আশা করি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক দেশবরেণ্য রাজনীতিবীদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আমার উপর আস্থা রাখবেন। আগামী ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জনগনের প্রতি আপনার কমিটমেন্ট কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কাশেম বলেন, সরকারী বরাদ্দের শতভাগ জনকল্যানে ব্যয় নিশ্চিত করতে আমি কাজ করবো। আমাদের অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং তার সুযোগ্য পুত্র মাহবুব রহমান রুহেলের নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো। কোন গ্রæপিং নয় দলকে সুসংগঠিত রাখতে সর্বাত্মক কাজ করে যাবো।
আবুল কাশেম বলেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন মিরসরাই। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরের বড় একটি অংশজুড়ে আছে ইছাখালী ইউনিয়ন। তাই সরকারের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে নিজ এলাকার মানুষদের সম্পৃক্ত করে আধুনিক ইছাখালী গড়তে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
আবুল কাশেম আরো বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি জনগনের সাথে নানাভাবে তাদের সাথে সম্পৃক্ত আছি। করোনার কঠিন এই দু:সময়ে নিজের যতটুকু আছে এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এলাকার মানুষের প্রত্যাশা আমি বুঝি। জনগন চায় সরকারী বরাদ্দের যথাযথ প্রয়োগ, অবকাঠামোগত সঠিক উন্নয়ন। ব্যক্তিগত লোভ লালসার উর্ধে থেকে অতীতের মতো মানবকল্যানে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করতে চাই। মানবসেবা করে যেতে চাই আমৃত্যু।