মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নির্বাচনে
ফলাফল কারচুপির অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

top Banner

চলমান রিপোর্ট :

মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ফলাফল কারচুপির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় মোটবাড়িয়া গ্রামের কয়েকশত নারী-পুরুষ। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ১নং ওয়ার্ডের মোটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪টি বুথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে মো. আমির হোসেন সেলিম (মোরগ) ও মো. আবদুল হাই (ফুটবল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় মোটবাড়িয়া গ্রামে মো. আমির হোসেন সেলিমের সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন।

সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো. আমির হোসেন সেলিম (মোরগ) অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালীন সময়ে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মো. আবদুল হাই (ফুটবল) বহিরাগত ভোটার এনে কেন্দ্র দখলে নেয়। এসময় তারা বুথের ভেতর গিয়েও ভোট দেয়। প্রিজাইডিং অফিসারকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার এলাকাবাসী আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। আবদুল হাই নির্বাচন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ফলাফল কারচুপি করেছে। আমি এ ফলাফল মানি না। ১নং ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না দিয়ে চলে গেছেন। এছাড়া আমার এজেন্ট থেকেও কোন স্বাক্ষর নেয়নি। এ ফলাফল বাদ দিয়ে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমি রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবো। প্রয়োজনে আদালতে মামলা করবো।

স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মো. আমির হোসেন সেলিমকে ভোট দেয়। ফলাফল সুষ্ঠ হলে সে বিজয়ী হওয়ার কথা। আমরা এ ফলাফল মানি না। পুনরায় নির্বাচন দাবী করছি।

১নং ওয়ার্ডের মোটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার হলো ১ হাজার ৩৫৪ জন। নির্বাচনে ৮২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মো. আমির হোসেন সেলিম (মোরগ) পান ৪১০ ভোট ও মো. আবদুল হাই (ফুটবল) পান ৪১৯ ভোট। নির্বাচন শেষে ফলাফল সীটে প্রার্থীর এজেন্টদের স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং সবার সামনে ফলাফল ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলাফল কারচুপির বিষয়ে সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো. আমির হোসেন সেলিমের (মোরগ) অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।

আরো খবর