
চলমান রিপোর্ট
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মানুষকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময় মানুষ ও মালামাল বোঝাই গাড়ি আটকে চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা দেয়ার পর তারা গাড়ি ছেড়ে দেয়। অন্যথায় গাড়ি আটকে রাখে। এমন অভিযোগ করেছেন অনেক ভূক্তভোগী।
ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, তিনি অর্থনৈতিক এলাকায় ভাঙ্গারির ব্যবসা করেন। সেখান থেকে মালামাল ক্রয় করে বাইরে বিক্রি করেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবেশের পথে ভাবির দোকানের মোড়ে আনসার চেকপোষ্টে যাওয়ার পথে তাদের ২শ টাকা চাঁদা দিতে হয়। মালামাল ক্রয় করে বের হয়ে যাওয়ার পথেও চাঁদা দিতে হয়। গত বৃহস্পতিবার আমি দুই বস্তা মালামাল নিয়ে বের হওয়ার সময় আমার কাছে দায়িত্বরত আনসার সদস্য অপিল চাকমা সহ কয়েকজন ৫শ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করতে আমাকে আর ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন। আমি বিষয়টি বেজার অফিসারদের জানাবো।
জানা গেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবেশ করার পথে বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে হয়রানি করে আনসার সদস্য মোবারক, রবিউল আওয়াল, আবু সাঈদ, অপিল চাকমা ও শামীম। কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। তাদের এমন কর্মকান্ডে বেজার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।
ভুক্তভোগি বাবুল দাশ প্রকাশ চায়না বাবুল অভিযোগ করেন, আনসার সদস্যেদের হয়রানিতে মানুষ অতিষ্ঠ। আমি অর্থনৈতিক অঞ্চল শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে বিভিন্ন কোম্পানীর সাথে ব্যবসা করে আসছি। আনসার সদস্যরা বিভিন্ন সময় ভেতরে প্রবেশের সময় হয়রানি করে, মালামাল আটকে রেখে চাঁদা দাবী করে। অপরিচিত লোক হলে তো কথা নেই। টাকা ছাড়া ভেতরে ঢুকতে দেয় না। এছাড়া টাকা টাকার বিনিময়ে জোনের ভেতর থেকে বিভিন্ন চোরাই জিনিস পার করে দেয়। আমি বিষয়টি আনসার কমান্ডার শাহাব উদ্দিন বেজার ম্যানেজার শরিফুল স্যারকে জানিয়েছি।
এই বিষয়ে আনসার কমান্ডার সাহাব উদ্দিন বলেন, আমিও লোক মুখে মানুষকে হয়রানির কথা শুনেছি। তবে কেউ আমাকে সরাসরি অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।