করোনার ভয়াবহ বিস্তার রোধে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কঠোর লকডাউন চলছে। সদর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ষেঁসে অবস্থিত বাজারগুলোতে লকডাউন কার্যকর হতে দেখা গেলেও উল্টো চিত্র গ্রামীণ চায়ের দোকানে। আগের মতই খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন মানুষ। রয়েছে পাড়া মহল্লায় চিরচেনা সেই আড্ডা। প্রশাসনের কর্মকর্তারা গেলে পালিয়ে যান। তারা যাওয়ার পর ফের আগের আড্ডা জমিয়ে দেন। করোনার ভয়াবহতা দিনদিন বাড়লেও এখনো গ্রামের সব মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় অবস্থিত প্রায় সব গ্রামেরই চিত্র এমন। এভাবে চলতে থাকলে, মানুষ সচেতন না হলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরো খারাফ হতে পারে বলে আশংকা করছেন মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ মিজানুর রহমান।
এদিকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৩য়দিনও মাঠে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট, মিরসরাই সদর ও নিজামপুর কলেজ এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়েছে পুলিশ। যাত্রী নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মাইক্রো, হাইচ, নোহা, প্রাইভেটকার তল্লাসী করেছেন।
শনিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্যবিধি না মানায়, অনুমোনদনহীন দোকান খোলা রাখা ও মাস্ক না পরায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৭জনকে ১১০০ টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুবল চাকমা। উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিঠাছড়া বাজার ও বামনসুন্দর দারোগাহাট বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান।
শনিবারও উপজেলার আবুতোরাব বাজারে গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে লকডাউন মনিটরিং করেছেন মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার। তিনি বলেন, আমি গত বছর থেকে আবুতোরাব বাজারে সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে ভূমিকা রেখে আসছি। এতে করে অনেক ব্যবসায়ী আমার উপর নাখোশ হয়েছেন। কিন্তু তাতে আমার কিছু আসে যায়না। নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণে আমার মঘাদিয়া ইউনিয়নে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে সনাক্তের হার কম। এছাড়া প্রায় শতভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়েছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুবল চাকমা বলেন, লকডাউনের ৩য়দিন উপজেলার হাদি ফকিরহাট, নিজামপুর কলেজ ও ছোট কমলদহ বাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও মাস্ক না পরায় ৭জনকে ১১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সবাইকে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে, মাস্ক ব্যবহার করতে সচেতন করা হয়েছে। প্রতিদিন মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।