নিজস্ব প্রতিনিধি
মাত্র কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে ঘিরে জমে উঠেছে কোরবানীর গরুর বাজার। প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার থেকে গরু ক্রয় করছেন ক্রেতারা। গরুর বাজার তদারকিতে মাঠে রয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা। প্রতিদিন উপজেলার ৪-৫টি বাজারে কোরবানী গরুর হাট বসছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দারের নেতৃত্বে এক গ্রুপে নয়জন করে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন বাজারে তদারকি করছেন। কোরবানীর পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনেপশু ক্রয় বিক্রয়, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মনিটরিং এর জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন দুই পৌরসভায় স্থায়ী, অস্থায়ী ৩০টি বাজার রয়েছে। এখানকার ৩০০ খামারী প্রস্তুত করেছেন প্রায় ৫০ হাজার পশু।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, কোরবানীকে ঘিরে প্রতিদিন বিভিন্ন গরুর বাজারে আমাদের ৩০ জনের একটি টিম ভাগ হয়ে কাজ করছে। এখানে মূলত দুর থেকে আসা গরু হটাৎ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁর তাৎক্ষনাৎ চিকিৎসা, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়, বিক্রয় বাজারে আগত মানুষদের গরু লালন পালনে উদ্বুর্ধ করা।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫দিন ধরে আমি উপজেলার বিভিন্ন গরুর খামার পরিদর্শন করে যাচ্ছি। প্রতিদিন ২/৩টি খামার পরিদর্শন করে খামারীদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। গত দুই বছরে মিরসরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন দুই পৌরসভায় অনেক খামারী সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বেকার না থেকে গরুর খামার গড়ে তুলছে। এতে করে দেশের গরু দিয়ে দেশের গরুর চাহিদা মেটানো সম্ভব। এছাড়া করোনার জন্য অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা বাজারে যেতে আগ্রহী না। তাদের জন্য জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় ও মিরসরাই প্রাণিসম্পদ অফিস গরু বেচা-কেনার জন্য অনলাইন ফেইজ খোলা হয়েছে। সে ফেইজে অনেক গরু বেচা-কেনা হচ্ছে।