মিরসরাইয়ে বেড়েছে মাদক উদ্ধার। মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার লাবীব আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে মাসিক ৪-৫শত ইয়াবা উদ্ধার থেকে বেড়েছে ৪-৫ হাজারে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানার দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগিতায় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন।
মিরসরাই এএসপি সার্কেল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর মিরসরাই সার্কেলে সিনিয়র সহকারী এএসপি হিসেবে যোগদান করেন লাবীদ আব্দুল্লাহ। তিনি যোগদানের পর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের নিদের্শক্রমে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করে। তার নেতৃত্বে বড় অভিযানগুলোর মধ্যে রয়েছে গত ৯ মার্চ তিনি নিজে অংশগ্রহণ করে করেরহাট ইউনিয়ন থেকে ৩৮ কেজি গাঁজা, ১২৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন। গত ৬ মে ২৯ বোতল হুইস্কি ও ১২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গত ২৩ জুন ৪ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা করা হয়। গত ১২ এপিল একটি পরিত্যক্ত পাইপ গান উদ্ধার করা হয়। তিনি যোগদানের আগে প্রতি মাসে মিরসরাই সার্কেলে ৩০০-৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হলেও বর্তমানে প্রতি মাসে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার উদ্ধার হচ্ছে। মিরসরাইয়ের বড় একটি সমস্যা ছিল মোটর সাইকেল ও গরু চুরি। তিনি যোগদানের পর মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূলহোতা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া ১৩টি মোটর সাইকেল। ডাকাতি রোধে ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত পূর্বক মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় খুনের সাথে জড়িত বোবাইয়া বশরকে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার লাবীব আব্দুল্লাহ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে বুঝতে পারি যে তাদের গড ফাদাররা অনেক শক্তিশালী। যা অনেক সময় প্রভাব বিস্তার ও ষড়যন্তের মাধ্যমে পুলিশের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করে। কিন্তু চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ও দুই থানার ওসির আন্তরিকতার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। তাই পুলিশ সুপার মহোদয় ও দুই থানার ওসিকে ধন্যবাদ জানাই।