মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মিরসরাইয়ের অন্যতম সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরীর আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধর গল্প শুনি’ অনুষ্ঠান। এসময় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৬ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় উপজেলার আবুতোরাবস্থ হিতকরী পাঠগৃহে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও মুক্তিযুদ্ধকালীন কঠিন মূহুর্তে যেভাবে দেশের জন্য নিজেদের জীবনের মায়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারই বর্ণনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবু তাহের।
এসময় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হিতকরীর উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবু তাহের তিনি তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় বাবু জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ মন্টুর নেতৃত্ব আমরা প্রথমে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং শুরু করে। অনেক কষ্টে হেঁটে, নদী পাহাড় ডিঙ্গিয়ে টানা ৪/৫ দিন না খেয়ে ভারতে পৌঁছি। শুকনো বিস্কুট আর পুকুরের পানি খেয়ে দিন রাত পার করেছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভয়ে দিনে বন জঙ্গলে পালিয়ে থাকতাম, রাত হলে আবারও হাটতাম ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্যে। পরবর্তী সেখান থেকে ট্রেনিং শেষ করে ফিরে আমরা চলে যায় ফটিকছড়িতে। সেখানে আমরা প্রথম এ্যাটাক করি তাদের। নবেম্বর ফটিকছড়ির নাজিরহাট এলাকায় একটি ব্রীজে পাক হানাদারদের হামলা করি আমরা।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের দুইটা গ্রুপ হয়ে আমরা ভারতে ট্রেনিং শুরু করেছি। একটি হলো আ স ম আব্দুর রব অন্যটি শাহজাহান সিরাজ। শ্রীনগর থেকে আগরতালায় গিয়ে এর পরবর্তীতে আসামের হাফলং শহরে গিয়ে ট্রেনিং করি আমরা পাহাড়ের চুড়ায় ৪০-৪৫ দিনে। আর সেখানে গিয়ে আমাদের বুকে সাহস আরো বেড়ে গেল যে ‘এই বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবেই’। সে লক্ষে আমরা যুদ্ধে নামি।