অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে অনানুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ বিভিন্ন দূর্যোগ থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় সম্প্রতি অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শ্রেণীর এই ফায়ার সার্ভিসটির কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ জনবল পায়নি তারা। ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ৫ লাখ মানুষের উপজেলা মিরসরাইয়ে প্রথম শ্রেণীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের অনুমোদন দেন। শুরুতে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হলেও মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে ব্যয়ও। এটি নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় বারইয়ারহাট পৌরসভা। তবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রকল্পটি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও চর্তুথ বার পর্যন্ত বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। এটি বাস্তবায়িত হওয়াতে কমবে অগ্নি ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
জানা গেছে, উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নে রয়েছে মাত্র একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। তাও সেটি দ্বিতীয় শ্রেনীর। উপজেলার প্রথম কিংবা শেষ প্রান্তে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে মিরসরাই থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌছানোর আগেই আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে যেত। তাই ৪৮২.৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এই উপজেলায় প্রথম শ্রেণীর একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের দাবি উঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিরসরাইয়ে প্রথম শ্রেনীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের অনুমোদন দেন। স্থান নির্ধারণ করা হয় বারইয়ারহাট পৌরসদর থেকে ১৫০ মিটার দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে। প্রাথমিক ব্যায় ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ধরে ২০১৯ সালে শুরু হয় কাজ। পরবর্তীতে ষ্টেশন ভবনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় আরো প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ৬২ শতক জমিতে এটি নির্মাণের কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ফায়ার সার্ভিসকে ৪৪ শতক জায়গা বুঝিয়ে দেয়। এরপর চারবার বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। অবশেষে কাজ শেষে অনানুষ্ঠিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ফায়ার সার্ভিসটি যাত্রা শুরু করলো। তবে এখনো পাওয়া যায়নি পূর্ণাঙ্গ জনবল।
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ বিভিন্ন দূযোর্গ থেকে জানমাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিসটি উদ্বোধন করা হয়। তবে এখানো পাওয়া যায়নি পূর্ণাঙ্গ জনবল। ২২ জন ফায়ার ফাইটারের মধ্যে রয়েছে ১১ জন। ৩ জন লিডার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২জন। তবে তাদেরকে অন্য ষ্টেশন থেকে সাময়িকের জন্য আনা হয়েছে। এছাড়া এখনো এসে পৌছায়নি অ্যাম্বুলেন্স। বাবুচি, সহকারী বাবুচি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদ খালি রয়েছে। ৫টি গাড়ির মধ্যে রয়েছে ৩টি গাড়ি। তবে অন্য ষ্টেশন থেকে চালক এনে গাড়িগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স প্রকল্পের ঠিকাদার হারুন অর রশিদ জানান, কাজ শেষে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনটি কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইন্সপেক্টর নুরুল করিম বলেন, এলাকাবাসীর জানমালের কথা চিন্তা করে সম্প্রতি অনানুষ্ঠিক ভাবে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে জনবলসহ সব ধরণের সুবিধা এখানে যুক্ত হবে।