ফেনীতে ছাত্রদল নেতার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

# দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ # নিজ এলাকা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম

top Banner

ফেনীতে হাটবাজারসহ একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। রেহাই পাচ্ছেন তার দলের ভিন্ন গ্রুপের লোকজনও। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার নাম দেলোয়ার হোসেন। তিনি ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক। স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে দেলোয়ার হোসেন। নিজ এলাকা মোটবী ইউনিয়নের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

৫ আগস্ট বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে দেলোয়ার বাহিনী। পরদিন থেকে সিএনজি স্ট্যান্ড ও লস্করহাট কাঁচাবাজার থেকে লোক দিয় চাঁদা তুলতে শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিয়মিত বাজারে মহড়া দেয় দেলোয়ার বাহিনী। ফোন করে ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও আওয়ামী লীগকর্মী-সমর্থকদের কাছে চাঁদা দাবি করে। যার একটি অডিও ও ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

অডিওতে লস্করহাট বাজারের সফি কমপ্লেক্সের মালিক ও ঠিকাদার জিয়া উদ্দিনের কাছে জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুনের কথা বলে চাঁদা দাবি করেন। ওই দিন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জিয়া তার কাছে পৌছাবেন বলতে শোনা যায় ওই অডিওতে। একইভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেলোয়ারের নির্দেশে তার লোকজন চাঁদা তুলছেন বলে স্বীকার করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, গত একমাসে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছে দেলোয়ার। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন জানান, এই বক্তব্য এডিট করা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এটা করেছে।

ফেনী জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। খবর নিয়ে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমীন জানান, মোটবী এলাকার চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর