ফিরোজ মাহমুদ
পরিবারের কড়া শাসনে বাড়ি ছাড়লেন এক কলেজ শিক্ষার্থী। অনেকটা মানসিক চাপে পড়ে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কলেজ শিক্ষক, পরিবারসহ তার সহপাঠীরা। অবশেষে মিললো সেই কলেজ ছাত্রের খোঁজ। বলছি মিরসরাই উপজেলার প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল আহমদের (১৮) কথা। তিনি ওই কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
তার সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার কলেজ সংলগ্ন মায়নী ইউনিয়ন পরিষদের পাঞ্জেখানায় আসরের নামাজ পড়তে দেখা যায়। এরপর সেখান থেকে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে শিক্ষক, পরিবার ও বন্ধুরা। তার ব্যাবহাহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফিরে আসবে বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনা উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কলেজ শিক্ষক, পরিবারসহ তার সহপাঠীরা।
কলেজ শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম জানান, অনেকটা মানসিক চাপে সে আত্মগোপনে চলে যায়। গতকাল আসরের নামাজ কলেজ সংলগ্ন মসজিদে পড়ে চলে যায় শরিয়তপাড়া এলাকায়। সেখানে একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষ করে। এরপর সে ওই মসজিদে রাতে থাকার ব্যাবস্থা খুঁজলে তার এক সহপাঠীর সাথে দেখা হয়। পরে ওই বন্ধুর বাড়িতে সে রাতে থাকে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে তাকে খুঁজে না পাওয়ায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস সবাই একযোগে শেয়ার করলে সেটি তার বন্ধুর নজরে পড়লে তাকে আজ শনিবার (৩ জুলাই) কলেজে নিয়ে আসে।
প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবসার উদ্দিন বলেন, ফয়সাল আহমদ গতকাল কলেজে এক শিক্ষকের কাছে এসাইনমেন্ট বুঝে নিতে এসেছে। সেখান থেকে ফেরার পথে সে চরশরত এলাকার পরিয়তপাড়া গ্রামে এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে খোঁজাখুঁজি করলে আজ দুপুর ১টার দিকে কলেজে ফিরে আসে সে। পরে তার মামার হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়।
ফয়সাল আহমদ উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়িয়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী মো. শাহ আলমের পুত্র।
তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মা জানান, গ্রামের আজেবাজে ছেলেদের আড্ডা থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাকে কলেজের হোস্টেলে থাকতে দেয়া হয়। গতকাল বাড়ি আসার কথা আমাকে বললে আমি তাকে আসতে বারণ করি। তখন সে হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, করোনার মহামারি জানা সত্বেও এলাকার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তার ভালো পড়ালেখার জন্য তাকে হোস্টেলে রাখি।