কোন শিশু জন্মগ্রহণ করলে দ্রুত জন্মনিবন্ধন করতে শুভেচ্ছা কার্ড ও কেউ মারা গেলে দ্রুত মৃত্যুনিবন্ধন করার জন্য শোকবার্তা কার্ড পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার। ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধ করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে খুশী ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, মঘাদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কোন ঘরে কোন শিশু জন্মগ্রহণ করার পর ওই শিশুর পরিবারের কাছে চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি শুভেচ্ছা কার্ড প্রতিনিধির মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয়। কার্ডে লেখা থাকে ‘আপনার পরিবারে নতুন অতিথি আসছে এই সংবাদ পেয়ে আমরা আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অনাগত নতুন অতিথি ও তাঁর মায়ের সুস্থ্যতা, মঙ্গল কামনা করছি। প্রসবকালিন সেবার জন্য নিকটস্থ ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা গ্রহণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনে আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। জন্মের সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব সন্তানের জন্মনিবন্ধন করা আপনাদের একটি অবশ্যকীয় আইনি দায়িত্ব। রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল সেবা লাভের জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ একটি অতি মূল্যবান প্রয়োজনীয় দলিল। আপনাদের সহযোগীতার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত।’ একইভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তির আত্মার মাগফেরাত/শান্তি কামনা করে পরিবারের সদস্যদের বরাবরে মৃত্যুনিবন্ধনের জন্য শোকবার্তা কার্ড পাঠানো হয়ে থাকে।
১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বলেন, কোন নাগরিক জন্মগ্রহণ করলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদে এসে জন্মনিবন্ধন করা এবং কেউ মারা গেলে মৃত্যু নিবন্ধন করা প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকে ইচ্ছাকৃত, কেউ অনাচ্ছকৃতভাবে এই নিবন্ধন সনদ তৈরি করেন না। এর জন্য পরবর্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় ওই ব্যক্তি বা পরিবারকে। এজন্য আমি জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুনিবন্ধন সনদ করতে সবার ঘরে ঘরে শুভেচ্ছা বার্তা ও শোকবার্তা কার্ড পৌঁছে দিচ্ছি। ইতমধ্যে অনেক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুনিবন্ধন সনদ করতে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগে সত্যি প্রশংসনীয়। আশা করি অন্যান্য উপজেলার চেয়ারম্যানরাও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।