::চলমান রিপোর্ট::
বাঙালির চিরাচরিত এই ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে নিজামপুর কলেজে অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট পিঠা উৎসব। ৩ মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত “বসন্তের হিমেল ভোরে, পিঠা উৎসব ঘরে ঘরে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে নিজামপুর সরকারি কলেজের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লাল-নীল, সবুজ, হলুদ বাসন্তি, জামদানি শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে বাহারি পিঠার ঝুড়ি নিয়ে সবাই হাজির হন এই উৎসবে। দেখা যায় বাঙালি ঐতিহ্যের ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, নকশা, পাকন, ফুল, দুধ পুলি, গোলাপ, ভাপা, নকশি, নকশী জামাই বরণ কচি কলা, শিমুলপোয়া, ঝাল পোয়া, সুজির নারকেল পুর, বেনি পিঠা, ফুলের কলি, তারা সহজ নানা রকম পিঠার দারুন সমাহার ছিল প্রতিটি স্টলে। প্রায় ৮০ থেকে ১০০ রকমের পিঠা পসরা বসেছিল পিঠা উৎসবে। প্রতিটি পিঠার সাথে ছিল পিঠার নাম। নামের সাথে বিভিন্ন স্টলে দেখা গেল বিভিন্ন উক্তি যেমন গোলপ পিঠা- “যাবে ভালোবাসেন তাকে এই পিঠা খাওয়ান প্রেমে পরতে বাধ্য, “বেণী পিঠার মতো হোক আপার লম্বা ঘন চুল”।
নিজামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিক উদ্দিন বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই বিলুপ্তির পথে। সেগুলোকে টিকিয়ে রাখতে ও সবাইকে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ উৎসবের আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী পিঠা পরিবেশন করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মেলার উদ্দেশ্য।
নিজামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাজী ফারহা বলেন, শীতের দিনে দেশের নানা অঞ্চলে পিঠা তৈরি করা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। সবার মাঝে আলাদা একটি আনন্দ কাজ করতেছে। এবং নতুন নতুন অনেক পিঠা দেখে তাদের নাম জানতে এবং খেতে ও পারতেছে সবাই। আসা করি এমন আয়োজন প্রতি বছর থাকবে।
উক্ত পিঠা উৎসবে স্টল ঘুরে দেখেন ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদুল হাসান (টিপু), নিজামপুর সরকারি কলেজ ছাএলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম আরিয়ান সহ প্রমুখ।
আরো খবর