নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিরসরাইয়ে মাহমুদা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধুর গলায় ওড়না পেঁছানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (২০ নভেম্বর) উপজেলার ৮নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জনার্দ্দনপুর গ্রামের ছাদেক রহমানের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। মাহমুদা আক্তার (২১) ওই বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে প্রবাসী মঈনুল ইসলাম রাসেলের স্ত্রী। তার ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
মঈনুল ইসলাম রাসেলের চাচাতো ভাই সোহাগ জানান, রাসেল ঢাকার গাজীপুরে একটি কারখানায় চাকুরি করার সময় মাহমুদাকে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেন। এরপর মঈনুল তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তাদের ৫ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর মঈনুল প্রবাসে চলে যায়। ঘরে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতো৷ শনিবার সকালে মেয়েকে স্থানীয় একটি স্কুলে দিয়ে এসে কোন এক সময় ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ীর লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় উল্লেখ করে একটি চিরকুট তার হাতে ছিলো বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজাউল হক নিজামী বলেন, মঈনুল ইসলাম রাসেলের বাবা-মা দু’জন আগে মারা গেছেন। তার বড় ভাই চাকুরীর কারণে দাউদকান্দি থাকতেন ও বোনও বিবাহিত। মঈনুল হোসেন দেশে আসার উদ্দেশ্যে শুক্রবার রাতে প্রবাস থেকে রওয়ানা দেয়। আজ (শনিবার) সকাল ১০টায় ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। সন্ধ্যা ৬টায় জোরারগঞ্জ থানায় এসে পৌছেছে। তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে আমি জোরারগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ বিকাল ৪টায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি। এসময় লাশের সাথে হাতে লিখা একটা চিরকুট পাই। চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে লিখা ছিল। এছাড়া তার মায়ের সাথে অভিমানের কিছু বিষয় উল্লখ করা আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।