দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করলো উপজেলা ছাত্রলীগ।

top Banner

চলমান রিপোর্ট

মিরসরাই উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সব ধরণের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করলো উপজেলা ছাত্রলীগ।

২৮ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক সোহেল, আজাদ রুবেল, জাফর ইকবাল নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং মিথুন শর্মার যৌথ সাক্ষরিত বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াড ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয় কে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্যাড ব্যবহার করে কমিটি গঠন সূত্রে একটি বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসতে থাকে। যেখানে দেখা যায় মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ ঘোষিত দূর্গাপুর ইউনিয়নের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদকের সাক্ষরিত একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া কমিটি গঠন সময়ের বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দূর্গাপুর ইউনিয়ন এবং মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জৈষ্ঠ্য নেতাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সব ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর যে সকল ইউনিটে সাংগঠনিক নিয়ম না মেনে অবৈধ কমিটি করা হয়েছিলো আমরা সেগুলো বিবৃতির মাধ্যমে বিলুপ্তি ঘোষণা করেছি। কেউ যদি ছাত্রলীগের প্যাড ছাপিয়ে সিল মেরে নিজের নাম সভাপতি কিংবা সাধারণ হিসেবে লিখে সাক্ষর করে কমিটি করেছে বলে ঘোষণা দেয় সেটা নিতান্তই পাগলের প্রলাপ।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের নির্দিষ্ট একটি গঠনতান্ত্রিক নিয়ম রয়েছে, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন এবং চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আওতাধীন এবং কেন্দ্রের সব নির্দেশনা মেনে কাজ করে। কিন্তু যারা ছাত্রলীগের প্যাড কিংবা নাম ব্যবহার করে এসব করছে তাদের কোনো অনুমোদন নেই এবং এটি সংগঠন বহির্ভূত কাজ।

মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান বলেন, দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক পদে বহাল আছেন আনিস ও মাসুক এবং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক পদে বহাল আছেন সুজন ও আমির। তবে দীর্ঘদিন স্ব-স্ব ইউনিটে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু মহলের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের প্যাড ব্যবহার করে যেসব কাজ করা হয়েছে সেগুলো স্থানীয় রাজনীতি প্রভাব বিস্তার ও নিজেদের আত্মতৃপ্তির জন্য। এছাড়া এসব গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য আমরা ইতিমধ্যে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।তারই ধারাবাহিকতাই গঠনতন্ত্র বিরোধী কোনো কাজ যাতে দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ব্যানারে কেউ না পারতে সেজন্য আমরা দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছি।

আরো খবর