ঢাকা সহ সারা দেশে আওয়ামীলীগ ও তাদের অংগসংগঠন কর্তৃক লগি-বৈঠার অতর্কিত আক্রমনের এক বিশাল তান্ডব চালায়। এতে প্রাণ গিয়েছিলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও অংগ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের বহু নেতা কর্মীর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনের দোষীদের শাস্তির জন্য সারাদেশের ন্যায় মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে বিক্ষোভ ও তৎপরবর্তী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ( ২৮ অক্টোবর) বাদ আছর উপজেলার মিঠাছড়া বাজার, আবুতোরাব বাজার কমলদহ বাজার এবং সুফিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলা অফিস সম্পাদক শফিকুল আলম শিকদার ও মিরসরাই পৌরসভার আমীর শিহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন এবং মিরসরাই পৌরসভার সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
এসময় সভায় বক্তব্য রাখেন ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সভাপতি হাফেজ ওমর ফারুক, মিরসরাই পৌরসভার আমীর শিহাব উদ্দিন এবং উপজেলা অফিস সম্পাদক শফিকুল আলম শিকদার। অন্য্যদিকে ১১, ১২, ও ১৩ নং ইউনিয়নের সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দের অংশ গ্রহণে সংগঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভার নের্তৃত্ব দেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর জনাব মাওলানা নূরুল কবীর ও হাফেজ ইকরামুল হক। আর উপজেলার ১৪.১৫.১৬ নং ইউনিয়নের সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দের উপস্থিতিতে সংগঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভার নের্তৃত্ব দেন ও বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মামুন ও উপজেলা বিএম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন। সুফিয়া বাজারের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভায় ১০নং মিঠানালা ইউনিয়ন ও তার আশপাশের জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তি অংশ নেয় এবং তাতে নেতৃত্বে দেন ও বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন ও সেক্রেটারি মাওলানা কলিম উল্যাহ্।
এসময় প্রত্যেকটি মিছিল ও পরবর্তী সভা থেকে ২০০৬ সালে সংগঠিত ন্যাক্কারজনক লগি-বৈঠার হামলার তীব্র প্রতিবাদ এবং তাতে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শান্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়। পাশাপাশি গত ১৫ বছরের শাসনামলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন মাঠ পর্যায়ে আবার আগের মতো কোনো ঘটনার জন্ম দিতে আসলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল ও নেতাকর্মীদের আরো এক্টিভ হয়ে কাজ করার নসিহত দেয়ার মাধ্যমে বক্তারা তাদের বক্তব্য শেষ করেন।