চট্টগ্রামে প্রথমবারে মতো বাণিজ্যিকভাবে গাজর চাষ হয়েছে মিরসরাইয়ে। কৃষি অধিদপ্তরের এস.এ.সি.পি প্রকল্পের আওতায় মিরসরাইয়ের দুই ইউনিয়নের তিন কৃষক বাণিজ্যিকভাবে গাজর চাষ করে। প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে গাজর চাষ হলেও ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের গরিয়াশ গ্রামে ২৫ শতক ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকায় ২৫ শতক জমিতে গাজার চাষ করা হয়েছে। সোনাপাহাড় এলাকায় দুই জন কৃষক ২৫ শতক জমিতে গাজর চাষ করে। গাজর চাষের জন্য কৃষকদের দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ, বীজ ও সার। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কৃষি অফিস আরো জানায়, মিরসরাইয়ে চাষ হওয়া গাজরের জাত অরেঞ্জ কিং। প্রতি কেজি অরেঞ্জ কিং জাতের বীজের দাম ২৩ হাজার টাকা। এক বিঘা জমি চাষ করতে ৫শত গ্রাম বীজের প্রয়োজন পড়ে। তবে অরেঞ্জ কিং জাতের বীজের ফলন ভালো হয়। রোপনের ৯০ দিন অর্থ্যাৎ তিন মাস পর ফলন পাওয়া যায়।
কৃষি অফিসের সহযোগীতায় উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গরিয়াশ গ্রামে ২৫ শতক জমিতে গাজর চাষ করেন কৃষক নুর আলম। সম্প্রতি নুর আলমের গাজর ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, উপরে সবুজ ও মাটির নিচে শোভা পাচ্ছে লাল রঙ্গের গাজর। এসময় নুর আলম জানায়, প্রথম বারের মতো গাজর চাষ করায় এলাকার মানুষ ক্ষেতটি দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ভীড় করছে। তিনি ফলন ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। চাষের খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার অন্য চাষিরা গাজার চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে বীজের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা চাষ নিয়ে শঙ্কিত। কৃষক নুর আলম আরো জানান, বীজ ছাড়া ২০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। বাজারে গাজরের ভালো দাম রয়েছে। আশা করছি ১ লাখ টাকার মত বিক্রি করা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো মিরসরাইয়ে গাজর চাষ হয়েছে। উপজেলার তিন জন কৃষককে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতায় গাজার চাষে উদ্ভৃদ্ধ করা হয়। গাজর পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি সবজি। সঠিকভাবে বাজারজাত করা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে কৃষক উপকৃত হবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বীজের দাম একটু বেশি হলেও চাষে খরচ কম। ফলন ভালো হলে কৃষক খরচের তিনগুণ লাভবান হবেন।