কুইজ প্রতিযোগিতায় সারাদেশপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুইজ প্রতিযোগিতায় (গণিত) জাতীয়ভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন মিরসরাইয়ের মুনতিশা জান্নাত (মুমু)। সে উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের পশ্চিম মায়ানী হাজীপাড়া নূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথম হয়। এরপর উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরবর্তিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রৌপ্য পদক অর্জন করেছেন।
জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় হওয়ায় মুমুকে আবুতোরাব বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল হোসেন বাবুল।
মুমু মায়ানী ইউনিয়নের হাজীপাড়া আব্দুল জব্বার হাজী বাড়ির চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরীজীবি মীর হোসেন ও গৃহিণী আনোয়ার বেগমের একমাত্র সন্তান।
মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নুরের ছাপা নয়ন বলেন,১৩ নং মায়ানী ইউনিয়ন এর কৃতি সন্তান মেধাবী ছাত্রী মুনতিশা জন্নাত মুমুর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।আমরা বিশ্বাস করি পারিবারিক ভাবে মুজিব আদর্শের চেতনায় বেড়ে উঠা মেধাবী মুমুর আলোয় একদিন মায়ানী আলোকিত হবে।
এবং ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবারিত সুন্দরের নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
হাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আনোয়ার বলেন, মুমু খুব মেধাবী। সে প্রথম শ্রেণি থেকে ভালো ফলাফল করে আসছে। ৫ম শ্রেণিতে তাঁর রোল-১। সে আমাদের গর্ব, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে সারা দেশের শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
শিক্ষানুরাগী ও আবুতোরাব বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল বলেন, ‘ মুমু শুধু আসাদের স্কুল নয়, পুরো মিরসরাইকে গর্বিত করেছেন। ভবিষ্যতে সে আরো ভালো কিছু করতে বলে আমি আশাবাদী।’
মিরসরাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়া গর্বের বিষয়। আমি ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর পরিবারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ বছর মিরসরাই উপজেলা থেকে একাধিক শিক্ষার্থী জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভালো করেছেন। আমি আশা করবো আগামীতে মুমুকে দেখে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহী হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তাঁরা বড় অবদান রাখবে।’