উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সুজাউল হককে আবারো মেম্বার হিসেবে চায় এলাকাবাসী

top Banner

চলমান রিপোর্ট

মিরসরাই উপজেলার ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন। ব্রিটিশ শাসনামলের পর থেকে ১৮টি গ্রাম নিয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। এই ইউনিয়নের জনার্দ্দনপুর ও শিকার জনার্দ্দনপুর গ্রাম নিয়ে গঠিত ২ নং ওয়ার্ড। মোট ভোটার ১৩৬৮ জন।

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিরসরাইতে। নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও উন্মুক্ত থাকছে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচন।

২০১৬ সালে এই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হন সুজাউল হক নিজামী। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিগত ৫ বছর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সুখে দুঃখে একজন পরিবারের সদস্যের মতো পাশে ছিলেন। এলাকার মানুষের কাছে সুজাউল হক মেম্বার জনপ্রিয়তায় হয়ে উঠেন অতুলনীয়। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনি একজন সেবক হিসেবে আইডল হয়ে উঠেন। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি তিনি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অসহায় গরিব দুঃস্থ মানুষের বিপদে আপদে একজন অভিভাবকের মতো ভুমিকা রাখেন ৫ বছর। সরকারি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা,জন্ম নিবন্ধন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, এলাকার বিয়ে শাদি , দাফন কাফন ও সৎকারে অংশগ্রহ করেছেন। করোনা কালীন ত্রান সামগ্রী বিতরণে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

৫ বছর তিনি সফলভাবে সম্মানের সাথে দায়িত্বপালন করায় এলাকা বাসির কাছে হয়ে উঠেন বিকল্পহীন । এছাড়া শালিশ বিচারেও ছিলেন ন্যায়ের পক্ষে অবিচল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর। মাদক, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সব সময় ছিলেন সোচ্চার।
এলাকাবাসি জানান, ২ নং ওয়ার্ডের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন শিকার জনার্দ্দনপুর সার্কেল রোড বিসি দ্বারা উন্নয়ন। বর্ষা মৌসুমে এই সড়কে মানুষের চলাচল উপযোগী রাখার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেন মেম্বার সুজাউল হক। উনার ছোট ভাই মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এরাদুল হক নিজামী ভুট্টোর সহায়তায় চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বিপ্লবের মাধ্যমে এবং এলাকার সাংবাদিক নুরুল আলমের সহযোগিতায় বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করেন। বর্ষায় সড়ক উন্নয়নে দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সলিম উল্লাহ সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন এই সড়কের উন্নয়নের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন ।

সর্বোপরি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি র সুপারিশে সুজাউল হক নিজামীর নিরলস প্রচেষ্টায় এই রাস্তার ২.৫০ কোটি টাকার ৩ কিলোমিটার সড়ক বিসি দ্বারা উন্নয়নের বাজেট পাঠানো হয়েছে এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ে। মিরসরাই এলজিআরডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম গত রবিবার সড়কের সার্ভে কাজ সম্পন্ন করেছেন। এলজিআরডি অফিস সুত্রে জানা গেছে শীঘ্রই রাস্তার বিসি উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। এতে এলাকাবাসীর শত বছরের দুর্ভোগ লাগব হবে।

গত রোববার সন্ধায় জনাদ্দনপুর আজিজুল হক মাষ্টার বাড়িতে আয়োজন করা হয় মতবিনিময় সভার। মুলত বিগত ৫ বছর দায়িত্বপালন কালীন কাজের মুল্যায়ন এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বর্গের মতামত শুনতে এ আয়োজন করেন সুজাউল হক মেম্বারের ছোট ভাই ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো। তিনি ভুমিকাতেই সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার ভাই ৫ বছর যা করেছে আপনারা দেখেছেন। আমরা তাকে সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য সহায়তা করেছি। যদি ভালো করে মানুষের দোয়া নিতে পারে আমরা পারিবারিক ভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখবো। আপনাদের বিচারে যদি তাঁর কর্মকাণ্ডে মানুষ অসন্তুষ্ট হয় আর কখনো এ কাজে আমরা উনাকে যেতে দেবোনা।
এরপর অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় দায়িত্বপালন করেন ৮নং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সলিম উল্লাহ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেম্বার রবিউল হোসেন।

শিকার জনার্দ্দনপুর গ্রামের আবু তাহের জানান, আমরা সুজাউল হক মেম্বারের মতো একজন জনপ্রতিনিধি পেয়ে গর্বিত। আবারও তাকে আমরা সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করতে চাই।
একই এলাকার মাষ্টার হারুন অর রশিদ বলেন, প্রথম নির্বাচিত হওয়া সহজ। দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়া কঠিন। জনগন এবার কাজের মুল্যায়ন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। মেম্বার হিসেবে সুজাউল হকের তুলনা হয়না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুজ্জামান বাসন বলেন, সুজাউল যেভাবে মেম্বার হিসেবে কাজ করেছে তার বিকল্প নেই। তাকে মেম্বার হিসেবে বারবার দরকার এলাকাবাসীর। দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক মিয়ন বলেন, সরকারী উন্নয়ন কাজে সুজাউল হক মেম্বারের সাথে একসাথে কাজ করেছি। তার ৫ বছরে কোন অনিয়ম দুর্নীতি দেখি নাই। আবার তাকে চাই।

সাবেক মেম্বার কৃষ্ণ বলেন, এলাকার শালিশ বিচার, উন্নয়ন সহ সরকারি বিভিন্ন কাজে সুজাউল হক যেভাবে কাজ করেছেন নজিরবিহীন । তাকে আবার আমরা চাই।

সুজাউল হক মেম্বার বলেন, আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার ভুলত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। আপনারা সকলে আমাকে যেভাবে মুল্যায়ন করেছেন তার যোগ্যতাও আমার নেই। আপনাদের এ সম্মানের ধারাবাহিকতা আমি আজীবন রাখার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো। আপনারা আমার ভালো কাজে পাশে থাকবেন। ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন। সকলের বক্তব্যের পর পরিশেষে সাবেক মেম্বার রবিউল হোসেন বলেন, সুজাউল হক একজন মেম্বার হিসেবে সাধ্যের সর্বোচ্চ করেছেন এলাকাবাসীর জন্য। তার বিকল্প নেই ২নং ওয়ার্ডে।

আরো খবর