মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঢাকা মহানগরের দক্ষিনের সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরের হামলার ঘটনায় ১২৬ জন এজাহারনামী ও অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনে নামে মামলা দায়ের করেছে যুবদল নেতা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় (মামলা নং-১৮) দায়ের করেছেন।
মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তাঁর ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, এনায়েত হোসেন নয়ন ও সাবেক মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিনকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূইয়াঁ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এরাদুল হক নিজামী ভুট্টো, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম খোকন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপুসহ ১২৬ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০২২ সালের ১২অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ঢাকা মহানগরের দক্ষিনের সদস্য ইশরাক হোসেন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার পথে মিরসরাই পৌর সদরে পৌছালে রাম দা, দেশী/বেদেশী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এবং ককটেল বোমা ফাটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে এবং নেতাকর্মীদের রক্তাত্ব জখম করে। পরবর্তীতে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর আসামীরা আবারও আমাদের গাড়ি বহরে হামলা করে ৩০টি গাড়ি ভাংচুর প্রায় ১কোটি ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি এবং বিভিন্ন জনের পকেটে থাকা ১০ লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় বলে যায় বিএনপির সমাবেশে গেলে লাশ গুম করে হত্যা করে ফেলবে। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের বলেন, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরে দলের গণসমাবেশে যাওয়ার পথে ইশরাকের গাড়ি বহরে হামলা, ভাংচুর, লুটের ঘটনায় শাহাদাত হোসেন বাদি হয়ে ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজারহানামীয় আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।