চলমান রিপোর্ট
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ দিদারকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
অব্যাহতি দেওয়ার পরপরই ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিঠাছরা বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সাইফুল্লাহ দিদার ৯ নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল আলম দিদার।

মঙ্গলবার মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যকরী কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে সাইফুল্লাহ দিদারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সাইফুল্লাহ দিদারকে দেওয়া ওই অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করা হয় মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সম্মতিক্রমে এই অব্যাহতি পত্র ইস্যু করা হয়।

অব্যাহতি প্রসঙ্গে সাইফুল্লাহ দিদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ৯১ সাল থেকে আমি দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছি। কিন্তু দল আমাকে পদ থেকে অব্যাহতির পুরস্কার দেয়ায় আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা সম্পুর্ণ অগণতন্ত্রিক। হাইব্রিড নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদেরের হাইব্রিডদের স্থান দেয়া হবেনা কথাটি মিরসরাইতে প্রতিফলিত হয়নি। আমাদের নেতা সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছে একটাই দাবি আমার বিরুদ্ধে যারা ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা দলের ভাল চাননা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাংসদের কাছে আকুল আবেদন জানচ্ছি।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রসঙ্গে সাইফুল্লাহ দিদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন,
১৯৯১ সালে স্কুল ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ৩০ বছর পাড়ি দিয়েছি অনেক চরাই উৎরাই উপেক্ষা করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিধন্ধীতা করতে গিয়ে স্বার্থান্বেশী মহলের হিংস্র থাবায় আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবি, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছবি অতঃপর আগামীর অভিভাবক মাহবুবুর রহমান রুহেল সাহেবের ছবি ভেঙে ফেলে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থেকে গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায় লুটেরা। আমি আমার অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাহেবের কাছে এমন ঘৃণিত কর্মকান্ডের বিচার দাবি করছি।প্রিয় নেতা বিচার করুন আপনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আমার গনতান্ত্রিক অধিকার। আপনাদের সহযোগিতা আমার একান্ত কাম্য।