
চলমান রিপোর্ট
অবিবাহিত সালাহ উদ্দিন দুই সন্তানের জননীকে বিয়ে করে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় আসেন সুখের আশায়। কিন্তু সেই সুখ বেশি দিন টেকেনি। পারিবারিক কলহের জের ধরে বউয়ের হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে অবশেষে জেলে গেলেন। ২৮ এপ্রিল আহত অবস্থায় পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে এস্টোরিয়া মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাকে তার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার দেখানো হয়। একই ঘটনায় তার বউ শাহিনা আক্তারকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে কুইন্স সেন্ট্রাল কোর্টে পাঠালে আদালত দুজনকে জামিন দেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শাহিনা আক্তারের প্রথম স্বামী কুমিল্লার মুজিবুর রহমানের সাথে চার বছর আগে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর বিগত আড়াই বছর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিনের সাথে শাহিনার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সালাহ উদ্দিন আসার পর থেকে বউয়ের আদেশে চলাফেরা করেন।
চাকরী করতেন একটি হোমকেয়ার কোম্পানীতে। কিন্তু চাকরির অর্থ জমা হতো বউয়ের একাউন্টে। কিছু হাত খরচ ছাড়া বাকি অর্থ বউ খরচ করতেন। সম্প্রতি সালাহ উদ্দিন পার্সিয়াল বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেন। বেকার ভাতার অর্থও বউয়ের একাউন্টে জমা হতো। সেই ডলার সালাহ উদ্দিন চাইলে পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। এরপর সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে একজন আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করেন।
আইনজীবির একটি বিজনেস কার্ড পকেটে নিয়ে বাসায় যান। কার্ডটি বউয়ের হস্তগত হলে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এরপর বউ এবং মেয়ে দুটি মিলে তাকে মারধর করেন বলে চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক উপদেষ্টা নাদেরুজ্জামান অভিযোগ করেন। একই সাথে নাদেরুজ্জামান ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীর বিচার দাবী করেন।
তিনি আরো জানান, সালাহ উদ্দিন ঘটনার সময় দৌড়ে এসে স্থানীয় এনামের দোকানের সামনে এসে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
সালাউদ্দিনের বউও নির্যাতিত হয়েছেন মর্মে নিউইয়র্কের এলমহাষ্ট হাসপাতলে ভর্তি হন। স্ত্রী শাহিনা আক্তার নির্যাতিত হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। সেই মামলায় সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে দুজনই ১০৮ পুলিশ প্রিসেন্টে আটক রয়েছেন। ৩০ এপ্রিল সকালে দুজনকে কুইন্স সেন্ট্রাল কোর্টে পাঠানো হয়।
১০৮ পুলিশ প্রিসেন্ট ৩০ এপ্রিল সকালে দুজনকে কুইন্স সেন্ট্রাল কোর্টে পাঠালে আদালত দুজনকে জামিন দেন ।
উল্লেখ্য, স্ত্রী শাহিনার বাড়ি নংসিংদী জেলায়। দুজনের আটক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী আযম জানান, বিষয়টি পুলিশের তদন্তনাধীন। অপরাধী যেই হউক তার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন জানান, পারিবারিক কলহের কারণে মারামারি কোন ভাবেই কাম্য নয়। দুইজনই যদি তাদের ভুল বুঝতে পারে তাহলে বিষয়টি সমাধান করা সহজ হবে।