৭ জানুয়ারী নৌকার প্রার্থীকে জিতানোর জন্য আমরা অনেক অপকর্ম করেছি

‘আমরা গত ৭ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, নূহ (আঃ) এর কিস্তির প্রার্থী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সুযোগ্য সন্তান মাহবুব উর রহমান রুহেলকে জিতানোর জন্য অনেক অপকর্ম করেছি। আমরা আগামী ৮ তারিখ কোন অপকর্ম ছাড়া ভোট কেন্দ্র খোলা রাখবো’। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমানের ঘোড়া মার্কার সমর্থনে বড়তাকিয়া ইভা কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে কর্মী সমাবেশ মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।

এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ আতাউর রহমান (ঘোড়া), প্রচার সম্পাদক প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আবু সুফিয়ান বিপ্লব, খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কালু কুমার দে, আবুল হোসেন, হিঙ্গুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম সরোয়ার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক মাহফুজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান হোসেন সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম সেলিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য মীরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রার্থী বলেছেন আপনি ভোটকেন্দ্রে আসবেন যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন আমাদের কোন আপত্তি নাই। যদি কেউ ভোট কেন্দ্র বন্ধ করার পায়তারা করে, একজনে একাধিক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে সেখানে বিক্ষোভ করবো। কেউ আপনাদের দিকে আঙ্গুল দেখালে সে আঙ্গুল ভেঙ্গে দেওয়া হবে।’

তিনি উপজেলা নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা কোন অবস্থাতেই আর কোন অপকর্ম করতে চাইনা। ভোট নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে আজকে বিএনপি ভোটকেন্দ্রে যায় না আওয়ামী লীগের লোকেরাও ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। শেখ হাসিনা সেজন্য চেষ্টা করেন মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

তিনি দলীয় প্রার্থীতার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কোন দলীয় প্রতীক রাখেন নাই। দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দিতে উনি বারণ করেছেন। তাই আমি বলতে চাই মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে; মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কোথাও কোন ইউনিয়নে ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী বা দলের পক্ষে কাউকে প্রার্থী করার সুযোগ নাই। প্রত্যেকে আওয়ামী লীগ করেন যেহেতু বিএনপির কোন প্রার্থী নাই, তাই সৎ ও সুন্দরভাবে পছন্দের প্রার্থীকে আমরা ভোটদেবো।’
এদিকে তার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মীরসরাই স্থানীয় রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গ্রামে গ্রামে চা দোকানে আলোচনার মূল বিষয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

জানা গেছে, আগামী ৮ই মে অনুষ্ঠিতব্য চেয়ারম্যান পদে ৫ জন , ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছে। তবে সবচাইতে বেশি আলোচনায় রয়েছে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের নাম।

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসনের ব্যক্তিগর্গ উপস্থিত ছিলো। যদি কোন অপকর্ম হয়ে থাকে তাকে প্রমাণ করতে হবে। এটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। সবাই ভাইরাল হতে চায়। দায়িত্বশীল মানুষ দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হবে। সে যদি কোন অপকর্ম করে তাহলে সে দোষ করেছে। সরকার বিরোধী কথা বলার জন্য তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।