চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাওলানা নূর আহমদ (রহ:) এর বার্ষিক ইছালে ছাওয়ার মাহফিল ও ৬৫তম ওরস সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে হযরত শাহ সূফী মাওলানা নূর আহমদ (রহঃ) দাখিল মাদরাসা মাঠে ভক্ত অনুসারীদের পদচারণায় মুখরিত হয় দুদিন ব্যাপী বার্ষিক ওরশের শেষদিন। উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিঠুর সার্বিক তত্ত্বাবধনে ৪০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন ছিল বার্ষিক ওরশে। শনিবার ফজরের নামাজের পর মিলাদ মাহফিল শেষে মাওলানা নূর আহমদ (রহ:) এর কবর জিয়ারত মাধ্যমে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে তবারক বিতরণ ।
ষাটোর্ধ মহসেন আলী বলেন, প্রতিবছর আমি ডাকঘর মাওলানা নূর আহমদ (রহ:) (বুড়া হুজুরের) বার্ষিক ওরশে আসি। খুবই সুশৃঙ্খলভাবে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এখানে আসে । বিশেষ করে এখানকার যুবকরা খুব শৃঙ্খলা সহিত কার্যক্রম পরিচালনা করে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্বে থাকা ইমরান হোসেন বলেন, সকাল থেকে প্রচুর ভিড় ছিল। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি। মানুষ সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তবারক গ্রহণ করতে পেরেছেন। যারা এসেছে সবাই পেয়েছেন।
মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিঠু বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুশৃঙ্খল ভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
ওরশ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, হযরত শাহ সূফী মাওলানা নূর আহমদ (রহঃ) ১৯৫৮ সালের ২০শে জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর হুজুরকে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ডাকঘর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাফন করা হয় সেই থেকে স্থানটি স্থানীয়দের কাছে ডাকঘর বুড়া হুজুরের মাজার নামে পরিচিত হয়। জীবদ্দশায় হুজুর ডাকঘর এলাকায় একটি এতিমখানা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে সেই এতিমখানা ২০০০ সালে হযরত শাহ সূফী মাওলানা নূর আহমদ (রহঃ) দাখিল মাদরাসায় পরিপূর্ণতা পায়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা বিস্তার ও জনসম্পদ সৃষ্টিতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। প্রতি বছর ২০ জানুয়ারি হুজুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে এখানে বার্ষিক ওরশ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।