বারইয়ারহাট ও আশপাশের এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেসে স্ক্র্যাপ-লোহার রেখে সওজের জায়গা দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল। স্তুপ রয়েছে টিন, প্লাস্টিক পণ্য, কাটুন ও অন্যান্য ভাঙ্গারী। এভাবে সরকারি জয়গায় দখল করে মেসার্স বারইয়ারহাট আয়রণ মার্ট এন্ড ডিজিটাল স্কেল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের রাখা এসব ছোট-খাটো স্ক্র্যাপ লোহাগুলো বিভিন্ন সময় মহাসড়কে পড়ে যায়, এতে এসব টুকরো লোহা মোটরসাইকেল কিংবা অন্যান্য গাড়ির চাকায় ঢুকে চাকা পাংচার হয়ে বিভিন্ন সময় ঘটে থাকে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়াও এসব লোহার কারণে পথচারীদের হাঁটা-চলায় দুর্ভোগে পড়তে হয়। বারইয়ারহাট পৌর বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বের ইউটার্ন সংলগ্নে এমনি চিত্র দেখা গেছে।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু মেসার্স বারইয়ারহাট আয়রণ মার্ট এন্ড ডিজিটাল স্কেল নয়, পৌর বাজারের উত্তর পার্শ্বের ইউটার্ন থেকে চিনকী আস্তানা স্টেশন পর্যন্ত মহাসড়কের পূর্ব পাশে প্রায় অর্ধ শতাধিকের মত গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সড়কের পাশের সওজের জায়গা অস্থায়ী ভাবে দখল করে ব্যবহার করছে নানা উপায়ে। রাখা হয়েছে ব্যবসায়িক কাঠ, হাসপাতালের গাড়ি পার্কিং, বাস-ট্রাক মেরামতের মালামালসহ নানা সামগ্রী। এসব জায়গা ব্যবহারে সরকারি অনুমোদনের নিয়ম থাকলেও সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই দখল করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, সওজের এসব জায়গাগুলো আগেও উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
মেসার্স বারইয়ারহাট আয়রণ মার্ট এন্ড ডিজিটাল এস্কেল স্বত্বাধিকারী জাহেদুল বলেন, আমরাতো স্ক্র্যাপ লোহা রাস্তায় রাখি না দুর্ঘটনা কেন ঘটবে। লোহাগুলো বস্তায় রাখা হয়েছে এগুলো চালান করে দিবো সেজন্য। আর সড়ক ও জনপদ বলার পর আমরা মালগুলো সরাই ফেলেছি, অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যাওয়াতে ফেলে দিয়েছি।
ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্বাধিকারী শংকর বাবু বলেন, এখানে সবাই ব্যবহার করছে আপনি আমাকে একা কেন বলতেছেন! তথ্য নিলে সবার থেকে নেন।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে এর আগেও নোটিশ দেয়া হয়েছে, যার কপি উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকটও পাঠানো হয়েছিলো। বিষয়টি আবার দেখছি কি করা যায়।