রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) সংসদীয় আসনের ১০৬ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থীসহ মোট ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন মোশাররফ-তনয় মাহবুবুর রহমান রুহেল। নৌকার বিপরীতে এখানে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগনেতা, মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। নৌকা আর ঈগলপ্রার্থী ছাড়া এখানে আরও ৫জন প্রার্থী নির্বাচনীমাঠে আছেন। তারা হলেন, এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল), আবদুল মান্নান (চেয়ার), মো. ইউসুফ (টেলিভিশন), নুরুল করিম আফছার (একতারা) ও শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (পাঞ্জা)।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭ প্রার্থী গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই শুরু করেন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় নির্বাচনের শেষ মুহুর্তের প্রচারণা শেষ করেছে প্রার্থীরা। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার গণসংযোগ, পথসভা, পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে ব্যস্তসময় অতিবাহিত করেছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রের ৭১৭ টি ভোটকক্ষের ৮২৩টি ব্যালট বক্সসহ নির্বাচন সামগ্রী প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ছাড়া ভোটের সকল সামগ্রী প্রিসাইডিং অফিসারদের বুঝিয়ে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ নির্বাচন পরিচালনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে থাকবে ২১২ জন। পোলিং এজেন্ট থাকবে ৭১৭ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ জন ও ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও আনসার ভিডিপি,পুলিশ,র্যাব,বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নিয়োজিত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী এ উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার মোট জনসংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ৭৫২ জন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ জন। পুরুষ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪১। মহিলা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮২ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ২। মোট ভোট কেন্দ্র ১০৬টি।