বাংলাদেশ উত্তেজনা ছড়ালেও জিতলো পাকিস্তান

top Banner

চলমান ডেস্ক :

শেষ ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় নার্ভ ধরে রাখতে পারেনি। শেষ টি-টোয়েন্টি পাকিস্তান জিতে নিয়েছে ৫ উইকেটে। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।

সব নাটক জমা রেখেছিল শেষ ওভার। ৬ বলে প্রয়োজন ৮ রান। টি-টোয়েন্টি এমনই এক খেলা, এক-দুই বলেই গতি-প্রকৃতি পাল্টে যায়। মাহমুদউল্লাহ বোলিংয়ে এলে হয়েছেও তাই। প্রথম বলে কোনও রান নিতে পারেননি সরফরাজ। বরং ১৯.২ ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যায় পরের বলে হায়দার আলী ৩৮ রানে ফিরে গেলে। হ্যাটট্রিক সম্ভাবনার বলে অবশ্য ৬ মেরে দলকে কক্ষপথে রাখেন ইফতিখার। চরম নাটকীয় মুহূর্তে ইফতিখার ক্যাচ দিয়ে ফিরলে পাকিস্তান আবারও চাপে পড়ে যায় তখন। কিন্তু শেষ বলে যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন আর রান চেক দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ৫ উইকেট হারানো দলটিকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন নওয়াজ। তাও আবার চার মেরে। তাতে ৫ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে সফরকারীরা।

শেষ বলটির আগে অবশ্য নাটক জমিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ-নওয়াজ দুজনেই। প্রথমবার ডেলিভারির পর নওয়াজ স্টাম্প ছেড়ে দাঁড়ান। পরে নওয়াজের সঙ্গে কথা বলে নতুন করে বল ছোড়েন মাহমুদউল্লাহ। কারণ, ডেলিভারিটি আম্পায়ারের পেছন থেকে করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরের ডেলিভারিতে মাহমুদউল্লাহ বল ছুড়তে এসেও করেননি! হয়তো ব্যাটারের মন পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে শেষ রক্ষা হয়নি যদিও।

অথচ শুরুতে মনে হয়নি শেষটা এমন নাটকীয় হবে। ১২৫ রানের লক্ষ্যে দুই ওপেনার সতর্ক শুরুতে ৩২ রান যোগ করেছিলেন। সপ্তম ওভারে মেরে খেলতে গিয়ে তালুবন্দি হয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। আমিনুল ইসলামের লেগ স্পিনেই বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ১৯ রান করে ক্যাচ তুলে দেন নাঈমের হাতে।

এরপর পাকিস্তানের ইনিংস সামলেছেন মূলত রিজওয়ান-হায়দার আলী। দুজনে ৫১ রানের জুটি গড়লেও সেটি ছিল ধীরগতির। রানের চাপ বেড়ে যাওয়ার মুহূর্তেই জুটি ভেঙে চাপ সৃষ্টির মুহূর্ত এনে দিয়েছিলেন অভিষিক্ত শহীদুল। তার বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন রিজওয়ান (৪০)। অথচ এই চাপ সৃষ্টির ওভারেই দুটি ছয় মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল সফরকারীরা।

শেষ ওভারের নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা মাহমুদউল্লাহ এক ওভার বল করেছেন। ১০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে নিয়েছেন শহীদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম। ম্যাচসেরা হায়দার আলী, সিরিজ সেরা মোহাম্মদ রিজওয়ান।

এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে না লাগিয়ে শ্লথ গতিতে খেলতে দেখা গেছে তাদের। নাঈম একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন কিন্তু পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ ছিলেন। মাঝে শামীম-আফিফ পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে নাঈমের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ৪৭ রান। খেলেছেন ৫০টি বল। শামীম ২৩ বলে ২২ ও আফিফ ২১ বলে ২০ রান করেছেন।

পাকিস্তানের হয়ে ১৫ রানে দুটি উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৩৫ রানে দুটি নেন লেগ স্পিনার কাদিরও। একটি করে উইকেট নেন শাহনেওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফ।

আরো খবর