চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বৃহত্তর অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও পর্যটনের দিক থেকে সমৃদ্ধ হচ্ছে। যা দেখতে এখন দেশের নানাপ্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন। এজন্য স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্র ও পাহাড়ি ঝর্ণাগুলোতে চলাচলের রাস্তা আরো সহজ করার বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে বলে জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মিরসরাই সমিতির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় তিনি সম্প্রতি মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে আসা ১৩ জন পর্যটক রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হবার ঘটনা উল্লেখ্য করেন। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, মিরসরাই উপজেলা পর্যটনের দিক থেকে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠছে। একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্র। এখানে অনেকগুলো পাহাড়ি ঝর্ণা আছে। যা দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে পর্যটকরা ছুটে আসছেন। এখন পাহাড়ি ঝর্ণাগুলোর যাতায়াত পথ আরো সহজ করতে হবে। আমি মন্ত্রী থাকা কালীন কিছু পরিকল্পনা করেছিলাম। তখন বাস্তবায়ন হয়নি, তবে এগুলো বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের চলাচল আরো সহজ হয়ে যাবে। সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মুক্তিযুদ্ধের উপর স্মৃতিচারণ করেন। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাটানো সময়েরও বর্ণনা করেন।
মিরসরাই সমিতির সভাপতি এম এ তাহের ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আজমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব উর রহমান রুহেল। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মহি উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান জনি, মুসলিম উদ্দিন ভুঁইয়া, সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, মেজবাউল আলম ভুঁইয়া, মামুনুর রশীদ। মাহবুব উর রহমান রুহেল তার বক্তব্যে বলেন, দেশের পঞ্চাশ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স পঁচিশের নিচে। এই তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশেষ করে প্রবাসে কাজ করা তরুণরা। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে এই তরুণরাই নেতৃত্ব দিবেন। তরুণদের এই নেতৃত্ব অর্থনৈতিক জোনগুলোকে সমৃদ্ধ করবে। সাংবাদিক কামরুল হাসান জনি তার বক্তব্যে সাংসদের মাধ্যমের স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে অন্তত একটি করে অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের দাবি জানান। তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে মিরসরাইবাসী অনেক কিছুই পেয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহামায়ার মত পর্যটন কেন্দ্র, আলাদা দুটো থানা, দুটো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পেয়েছে। এখন প্রয়োজন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসুস্থ বা দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রীক একটি করে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগীদের উপজেলা ও জেলা সদরে চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। পরে মিরসরাই সমিতির ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন মাহবুব উর রহমান রুহেল। এসময় জিয়া উদ্দিন, আজিমুল বাহার, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, মোহাম্মদ জাকারিয়া, শেখ ফরহাদ, আরশাদ হোসেন হিরু, ইঞ্জিনিয়ার মোরশেদ, দেলোয়ার হোসেন আলতাফ, মাইদুল ইসলাম শিমুল, সিরাজ দৌল্লাহ, মোহাম্মদ ইউচুফ এয়াছিন, মইদুল আলম, মোঃ হাশেম লিটন, নুরুল ইসলাম, মামুন মোরশেদ, সোহেল ইসলাম, হুমাইয়ুন, অরুন বাবুসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত মীরসরাইবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।