চলমান রিপোর্ট:
মিরসরাই উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করার জের ধরে দুই ভাইয়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে গত শনিবার রাত আটটার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছেন জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আসিফুল আদনান স্মরণ ও তার বড় ভাই চট্টগ্রাম হাজেরা ভুজ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আশরাফুল আলম শয়ন (২০)।
তারা জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এ ঘটনায় শয়নের মা কামরুন নাহার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের গেটের সামনে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছে একটি কিশোর গ্যাং চক্রের ৭-৮ সদস্য। একই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিফুল আলম স্মরণ এর প্রতিবাদ করেন। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে জোরারগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের সামনে বসে একই স্কুলের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সিগারেট ফুঁকছিল। তখন স্মরণ তাদের বকাঝকা করে। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় স্মরণের ওপর হামলা হয়। বড় ভাই আশরাফুল আলম শয়ন ঈদের ছুটিতে শহর থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে জোরারগঞ্জ হাজী হোটেলের সামনে একদল কিশোর তার ভাইকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে দেখে দৌড়ে যান। ভাইকে নিয়ে আসার পরে পুনরায় তারা শয়নের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। আশপাশের লোকজন এসে শয়নকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত আশরাফুল ইসলাম শয়ন অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার রাতে আমি বাড়ি যাওয়ার পথে জোরারগঞ্জ হাজী হোটেলের সামনে রিয়াদ, তানভির, জহিরসহ আরও ৮-১০ জন ছেলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমার ছোট ভাই স্মরণ তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তাকে না পেয়ে আমার ওপর প্রতিশোধ নেয়। শয়ন আরও অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় আমার বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালিখি করায় তাঁদের লেখালিখি বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছে ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুন বলেন, ‘এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।