জোরারগঞ্জে অনুষ্ঠিত ১০ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা শেষে ফেরার পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের উপর অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৬ জন। রোববার (১লা জানুয়ারী) ভোরে এ সন্ত্রাসী হামলা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো ৩০ জন। এসময় ৬-৭ টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
অতর্কিত এ হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমানসহ আরও ২ দুই যুবলীগ কর্মী। পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিকের। তাকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ভিকটিমদের অভিযোগের তীর জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর বিরুদ্ধে। তাদের দাবি এ বর্বোরোচিত হামলার ঘটনা ঘটছে টিটুর নেতৃত্বে। এ বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরণের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, রোববার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
রবিবার (১জানুয়ারি) রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজী ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টারের যৌথ স্বাক্ষরে তাকে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়।