চলমান রিপোর্ট
কভিড ১৯ এর কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস পর বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ১০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন মিরসরাই উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়ে দুপুরে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার বাহার চৌধুরী। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার, ইউপি সদস্য আলা উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, দ্বীন মোহাম্মদ, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আবছার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মাসুদ, সহ-সভাপতি দিদারুল আলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
১০ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে আবুতোরাব ফাজিল মাদরাসা, মঘাদিয়া নুরুল আবছার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, বাহার চৌধুরী নূরিয়া দাখিল মাদরাসা, মঘাদিয়া ইউনিয়ন সরকারী প্রাথমিক, বিদ্যালয়, আবু তাহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর মঘাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আবুতোরাব এসএম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঘাদিয়া এনসি সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়, গাজীটোলা বদরুন্নেচ্ছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শফিউল্লাহপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসিমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বদিউল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আঞ্জুমান্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীর তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সমিতিরহাট মাদরাসা, শেখটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দারুন্নাজাত নুরানী মাদরাসা।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টার বলেন, করনোর জন্য দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছি। আমাদের প্রিয় অভিবাবক, সাবেক সফল মন্ত্রী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে ও মিরসরাই’র আগামীর কান্ডারী মাহবুব রহমান রুহেল ভাইয়ের পরামর্শে করেনাকালীন সকল সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে ছিলাম। এই কারণে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় আমার ইউনিয়নে সংক্রমণ কম হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার বলেন, মঘাদিয়ার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ১৭ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার পর সকল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিয়নজুড়ে ১০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন। যা সত্যি প্রশংসার দাবীদার। আমি তাকে এমন উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।