কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মহামায়া’য় নির্মাণ হচ্ছে কার ও বাস পার্কিং
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নির্মাণ করা হবে পানির ফোয়ারা
মিরসরাইয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহামায়া লেকে পর্যটকদের সুবিধার্থে ১১৪ শতাংশ জমিতে কার ও বাস পাকিং কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। এতে ব্যায় হবে প্রায় ১ কোটি টাকা। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তথ্য অফিসের সামনে নির্মাণ করা হবে একটি পানি ফোয়ারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহান শাহ নওশাদ।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ মিরসরাই রেঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে অধিগ্রহণ শেষে ১১৪ শতক জমি মিরসরাই রেঞ্জকে বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন বিভাগ। তবে এত দিন মহামায়া গেইটের মুখে অধিগ্রহণ করা ৩০ শতাংশ জমি বেদখল ছিল।
রবিবার (২০ অক্টোবর) বন বিভাগের নির্দেশনায় ওই ৩০ শতাংশ জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। মহামায়া গেইটের সামনে ৩০ শতাংশ জমিতে নির্মাণ হবে কার পাকিং। মহামায়ার পশ্চিম পাশে রেললাইনের উত্তরে ৮৪ শতাংশ জমিতে নির্মাণ হবে বাস পাকিং। এছাড়া সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মহামায়া তথ্য সেবা কেন্দ্রের সামনে একটি পানি ফোয়ারা নির্মাণ করা হবে। কার ও বাস পাকিং নির্মাণ প্রকল্পে ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। গত ১৬ অক্টোবর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে চলতি বছর ১ কোটি ৪১ লাখ টাকায় মহামায়া ইকো পার্ক ইজারা নেন হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট। তবে মহামায়া লেকের পানিতে ময়লা ও কচুরি ফেনায় ভরে উঠে। পানি পরিষ্কার নিয়ে বন বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। তবে সম্প্রতি দুই দফায় বিডি ক্লিন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মহামায়া লেক পরিষ্কার করে। এসময় বিডি ক্লিনের মিরসরাই উপজেলা সমন্বয়ক নূর নবী, সদস্য স¤্রাট সজীব, নজরুল ইসলাম, হাসান ভূইয়াসহ ইজারাদার ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে ‘বিডি ক্লিন’ এর মিরসরাই উপজেলা সমন্বয়ক নূর নবী বলেন, আমাদের সংগঠনের ২০-২৫ জন কর্মী দুই দফায় মহামায়া লেক পরিষ্কার করেছে। লেকের কচুরি ফেনা ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে লেকের উপরে ফেলা হয়। লেক পরিষ্কারে বন বিভাগ ও স্থানীয় বোর্ড চালকরা আমাদের সহায়তা করেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যেক বছর মহামায়ায় হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে শীতকালে বনভোজনের গাড়িতে ভরপুর থাকে মহামায়া। কার ও বাস পাকিংয়ের সুবিধা আগে থাকলেও তা ছিল স্বল্প পরিসরে। নতুন করে কার ও বাস পাকিংয়ের জায়গা করা হলে পর্যটকরা বাড়তি সুবিধা পাবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহান শাহ নওশাদ বলেন, প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে মহামায়া ইকো পার্ক এলাকায় কার ও বাস পাকিং নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।