করোনাকালে মানুষের শেষ ভরসা “শেষ বিদায়ের বন্ধু”

top Banner

চলমান রিপোর্ট

গত বছরের শুরুতে দেশে করোনার সংক্রমন শুরু হলে সমগ্র বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে লকডাউন নামক একটি নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয় মানুষ। বেঁচে থাকার অনিশ্চিয়তার মাঝে চরম হতাশায় এক নরক যন্ত্রনায় ক্লান্তিকাল অতিক্রম করে গৃহবন্ধি মানুষ। ঘরে খাদ্য নেই, ওষুধ নেই, চিকিৎসক নেই ,মারা গেলেও গোসল ,দাফন- জানাযা নেই, কবর দেওয়ার মানুষ নেই, বেঁচে থাকার কোন নিরাপদ আশ্রয় নেই, মসজিদের আযান আছে মুসল্লি নেই। মানুষের নিরব বোবা কান্না আর হাহাকারে এক অমানবকি মানব সমাজের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে।

বিশ্বের মানব ইতিহাসে ভয়াবহ এ বির্পযয় থেকে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলা কোন ভাবইে মুক্ত ছিলোনা। গৃহবন্ধি মানুষের ভয়াবহ করোনা ভাইরাস আতংকের মধ্যে চারদিকি থেকে আসতে থাকে স্বজন হারানোর শোক সংবাদ। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে জীবনের শেষ মূর্হুত্বে পরিবারের আপন মানুষগুলোর অমানবকি ভয়ংকর নির্মম নিষ্ঠুর অচরণ করোনা থেকেও ভয়ংকর রুপ ধারণ করে। করোনায় আক্রান্ত স্বজনেরা দুরে সরে যাওয়ার ফলে মানুষ মারা যাওয়ার পর ইসলামী শরীয়ত সম্মতভাবে জানাযা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। মৃতদের গোসল ও দাফন কাফনে চরম অনশ্চিয়তার খবর ভেসে আসে চারদিকি থেকে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে।

এমনই মহুর্ত্বে মিরসরাইয়ে আত্মপ্রকাশ করে মানবিক সংগঠন “শেষ বিদায়ের বন্ধু”। করোনায় মৃতব্যক্তির দাফন কাফন এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় এগিয়ে আসে একদল মানবিক যোদ্ধা। যারা নিজের মৃত্যু ঝুঁকি জেনেও সংকটময় সময়ে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলো। মৃত ব্যাক্তির গোসল ও দাফন-কাফন এবং আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুরু হয় পথচলা আগামী ৮ এপ্রিল মিরসরাইসহ দেশের আলোচিত সংগঠন শেষ বিদায়ের বন্ধু’র প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

মিরসরাই থেকে যাত্রা শুরু করে সময়ের চাহিদায় ফেনী, রামগড়, সেনবাগ ও খাগডাছড়ি পার্বত্য এলাকা সেবার কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেবার সুবিধার্থে বিভিন্ন উপজেলায় সংগঠনটির শাখা অফিস রয়েছে। এক বছর পর আগামী বৃহষ্পতিবার সংগঠনের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে মানবজাতির সুস্থ্যতা কামনায় মিলাদ- কোরআন খতম তছবিহ-তাহলিল ও দোয়া মুনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
বর্তমানে এ সংগঠনের চলমান সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে, করোনা পজেটিভ, বেওয়ারিশ এবং যে কোন মৃত ব্যাক্তির দাফন-কাফনের ব্যবস্থা, লাশ ধোয়ানোর ব্যবস্থা, ২৪ ঘন্টা এ্যা¤ু^লেন্স সার্ভিস ও অক্সিজেন সার্ভিস, এতিম, দরিদ্র ও অসচ্ছলদের সহায়তা, দুর্যোগকালীন ত্রান সহায়তা, প্রধান কার্যালয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর জন্য অত্যাধুনিক গোসলখানা, ফ্রি কাফনের কাপড় বিতরণ। সংগঠন পরিচালনায় সর্বোচ্চ পরিষদ, স্থায়ী পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদ রয়েছে।

করোনাকালীন মৃত ব্যাক্তির আশপাশের মানুষগুলো যখন শেষ বিদায়ের মূর্হুতে দুরে সরে থাকে। তখনি পরম মমতায় গোসল ও দাফন-কাফনের জন্য হাত বাড়ায় আর্তমানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত মানবিক সংগঠন “শেষ বিদায়ের বন্ধু”। একবছরে ৯০ জন (করোনা পজেটিভ,সাসপেক্টেড ও সাধারণ মৃত) ব্যক্তির দাফন-কাফন সম্পূর্ন করে এ সংগঠন।

“শেষ বিদায়ের বন্ধু “ সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আলম জানান, একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে চোখ পড়ে একটি খবরে। খবরটি হলো, করোনা সন্দেহে টাঙ্গাইলের সখীপুরে বনে মাকে ফেলে গেলেন সন্তানেরা , ফেলে যাওয়ার সময় তারা বলে মা, তুমি এই বনে এক রাত থাকো। কাল এসে তোমাকে নিয়ে যাব’ এ কথা বলে ৫০ বছর বয়সী মাকে শাল-গজারির বনে ফেলে যান তাঁর সন্তানেরা। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সন্তানেরা এমনটা করেন। এ খবরটি পড়ে সারারাত বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এছাড়া সংবাদমাধ্যমে রশি বেঁধে গোসল ছাড়া লাশ কবরে রাখার দৃশ্য দেখে আরো খারাপ লাগে। সারারাত এসব ভেবে খুব কষ্ট হয়। পরদিন সকালে উঠে ওর্য়ালেস দারুল উলুম মদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা শোয়াইব সাহেব কে ফোন করে লাশ দাফনের জন্য একটি স্বেচ্চাসেবী সংগঠন গঠন করার প্রস্তাব দিলে হুজুর সাথে সাথে লাশ গোসল, জানাযা ও দাফন-কাফনে সহযোগতিার আশ্বাস দেন। হুজুরের অনুপ্রেরনা পাওয়ার পর কমর্ফোট হাসপাতালরে চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন ভাইকে ফোন করি। তিনিও আগ্রহের সাথে সম্মতি দিলেন। দুইদিন পর তিনজন ওর্য়ালেস দারুল উলুম মাদ্রাসায় বসে পরার্মশ করে সারাদনি বিভিন্ন জনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করি। ৮ এপ্রিল ২০২০ থেকে অস্থায়ী র্কাযালয় দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে শুরু হয় শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠনের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়।

সংগঠনরে নাম নির্ধারণ করে দাফন কাফনের প্রয়োজনীয় প্রস্ততি নিয়ে পুরোদমে শুরু হয় করোনায় মৃত ব্যাক্তির গোসল- দাফন-কাফনের কাজ । জনপ্রতিনিধি, ডাক্তার, সাংবাদিক, মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুেষর সহযোগতিায় সংগঠনটি দ্রæত প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করে। ধীরে ধীরে সংগঠনের সেবা ছড়িয়ে পড়ে মিরসরাইয়ের সীমানা ছাড়িয়ে পাশ্বর্বতী উপজেলা ও জেলায়। র্বতমানে সংগঠনের দাফন-কাফন, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও অক্সিজেন সেবার সাথে নতুন নতুন সেবা কায্যক্রম সংযোজন হয়ে চলমান রয়েছে।
সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা আরো জানান, ৮এপ্রিল প্রথম বর্ষপূর্তীতে বিশেষভাবে স্বরন করি এ সংগঠনের সকল অর্জনের মুলে যাদের অবদান, যারা জীবনের ঝুঁকি, পরিবারের বাঁধা, সামাজিক হুমকি উপক্ষো করে দিন রাত সময়ে অ-সময়ে লাশের গোসল, দাফন- কাফন করেছেন তাদের। এদের মধ্যে অন্যতম টিম লীডার মাওলানা ওমর ফারুক, ক্বারি নোমান, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মাওলানা আবদুল মান্নান এবং এ্যাম্বুলেন্স চালক মেহেদী হাসান, দারুল উলুম মাদ্রাসার কেয়ারটেকার এরাদুল হক ( চাঁন ময়িা)।

এছাড়া সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্বরণ করছি মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা রুহুল আমিন, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ডাঃ এস এ ফারুক, কাস্ট্রম র্কমর্কতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী,আলহাজ্ব মাজহার উল্লাহ মিয়া, মীর আলম মাসুক, ফখরুল ইসলাম খান ( সিআইপি), মোঃ গোলাম ফারুক, চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন, রাসেদ খান চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মলে হোসেন রুবেল, ইমরান পাটোয়ারী, এজেট সাইফুল ইসলাম টুটুল, সলিম উল্লাহ, । এছাড়া দেশে বিদেশেরে অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী, দেশ বিদেশের সকল সদস্য, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সর্বোচ্চ পরিষদ, স্থায়ী পরিষদ ও র্কাযনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যদের। আরো স্বরণ করছি যারা এম্বুলেন্স, অক্সিজেন ও কবরস্থান সহায়তা তহবেিল সহযোগতিার হাত বাড়িয়ে সংগঠনের সেবার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছেন। যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের মাটির ব্যাংকের সঞ্চিত টাকা, জন্মদিনের অনুষ্ঠানের টাকা মানবিক তহবিলে দিয়ে করোনাকালে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। যেসব প্রবাসিরা এ্যাম্বলেন্স তহবিলের জন্য নিজে শ্রম দিয়ে তাদেও কষ্টার্জিত টাকা কালেকশন করে পাঠিয়েছেন। সর্বোপরি এ সংগঠনের সকল কাজের দিকনির্দেশনায় যারা ছিলেন, হাফেজ মাওলানা শোয়াইব (প্রধান ধর্মীয় পরামর্শক), আলহাজ¦ নিজাম উদ্দিন সমন্বয়ক (সেবা) আশরাফ উদ্দিন সোহেল ( সমন্বয়ক হিসাব ও অর্থ) সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।

মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ১৮টি ইউনটি গঠতি হয়। প্রতি ইউনিয়নে ৭জন পুরুষ ও ৫জন মহিলা। মোট ১৮টি ইউনিটে ২১৬ জন স্বেচ্চাসেবক কাজ করে। আলেম ওলামা দ্বারা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে এ সংগঠন ৮৯ জন মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন সর্ম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ, করোনা সাসপেক্টিভ, স্বাভাবিক মৃত নারী-পুরুষ রয়েছে। মিরসরাই, ফেনী, সেনবাগ, ছাগলনাইয়া, রামগড়, খাগড়াছড়িতে সেবা চালু রয়েছে। এমনো দিন ছিলো রাত ৩টায় শেষ বিদায়ের বন্ধুরা লাশের গোসল,দাফন-কাফন করে নিজ ঘরে থাকতে পারেনি, নিজ গ্রামেও আসতে পারেনি। একদিকে পরিবারের সুরক্ষার চিন্তা। অন্যদিকে সমাজের একশ্রেনীর মানষের করোনার লাশ দাফনের অজুহাতে স্বপরিবারে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি ছিলো করোনা থেকেও ভয়ংকর। তবুও রাত-দিন নিস্তদ্ব জনপদে অ্যাম্বুলেন্স আর কাফনের কাপড় নিয়ে সদা প্রস্তুত থাকতো শেষ বিদায়ের বন্ধুরা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পেলেই দাফন কাফনে ছুটে যেতো সংগঠনটির সদস্যরা। সেখানে গিয়ে প্রথমেই মরদেহের গোসল করিয়ে জানাযা শেষে পরম যতেœ কবরে রাখতো লাশ । অদূরে দাঁড়িয়ে অন্তিম যাত্রার মুহুর্তে চোখের পানি ফেলতেন স্বজনেরা । আপন ছেলে হয়েও বাবার লাশ শেষবার ছুঁয়ে না দেখা, সন্তানের লাশ রেখে দুরে দাঁডিয়ে বাবার কান্না, গর্ভধারিনী মৃত মায়ের লাশ ছুঁয়ে দেখতে সন্তানের ভয়! এসব দৃশ্য কখনো ভুলার মত নয়। এসময় শেষ বিদায়ের বন্ধুরা সম্পূন্ন বিনা খরচে নির্ভয়ে লাশের গোসল দিয়ে খাটিয়ায় তুলে কাঁধে কওে দাফন কাফন সম্পন্ন করেন। মিরসরাইয়ের ওসমানপুরের প্রবাসি ছালেহ আহমদের মৃত্যুর পর পরিবারের নিষ্ঠুরতা সারাদেশের মানুষের বিবেক নাড়া দিয়েছিলো। তিনি চট্টগ্রাম শহরের বাসায় রাতে মারা যাওয়ার পর সকালে লাশ মিরসরাইয়ের ওসমানপুর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসলে লাশ এ্যাম্বুলন্সে থেকে নামার আগেই বাড়ির সমস্ত লোক ভয়ে পালিয়ে যায়। সারাদনি লাশ উঠোনে রোদে শুকিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে। দিন শেষে সন্ধার আগে খবর পেয়ে লাশ দাফন করে শেষ বিদায়ের বন্ধুরা । শেষ বিদায়ের বন্ধুরা যখন দাফন কাফনের কাজ শুরু করে তখন মানুষ ভরসা পায় মারা গেলে অন্তত ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক লাশের গোসল ,দাফন-কাফন হবে। অল্প সময়ের মধ্যে দেশে-বিদেশে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে শেষ বিদায়ের বন্ধু’ সংগঠনের নাম। শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠন নিয়ে বিভিন্ন জনের কথা ও সুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গান লিখা হয়। চারিদিকে প্রশংসা আর ভালোবাসার উচ্ছাস। এ ভালোবাসায় ভর করে র্আতমানবতার কল্যাণে বহুদুর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠন।

করোনাকালীন মৃত ব্যাক্তির গোসল ও দাফন-কাফন ছাড়াও আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠন। শুরু থেকে করোনাকালীন মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিন ও নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ত্রান সহায়তা দেওয়া হয়, ১শত হাফেজ শিক্ষার্থীকে জুব্বা ও পায়জামা দেওয়া হয়, নারীদের বোরকা প্রদান করা হয়, ক্লিফটন গ্রুপের সৌজন্যে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও টিশাট বিতরণ করা হয়, প্রিমিয়াম ট্রেড এন্ড এক্সেসরিজ এর সৌজন্যে শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠনের লোগো খচিত টিশার্ট বিতরণ করা হয়,গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ও মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জসিম উদ্দিনের রোগ মুক্তি কামনায় উপজেলার ৫শতাধীক মসজিদে দোয়া ও কোরআন খতম করা হয়, পরিবেশ রক্ষায় মসজিদ মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের বিদায় সংবর্ধনা ও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরন অনুষ্ঠান করা হয়। ইতোমধ্যে বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারী সংস্থা আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম শাখার পরার্মশে সংগঠনের র্কাযক্রম সময়োপযোগী করার পরকিল্পনা গ্রহন করা হয়ছে।

আরো খবর