আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী আয়োজন

top Banner

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছেন ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে ইউনিয়ন হলরুমে প্রবীণদের মিলন মেলা হয়েছে। লাল  গোলাপের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন শতাধিক প্রবীণ। ৬০ থেকে ৮৫ বছরের এসব প্রবীণদের চেহারায় বয়সের চাপ দেখা গেলেও এমন আয়োজনে সবার মুখে ছিলো আনন্দের হাসি। তাদের সকলের হাতে একটি করে লাল গোলাপ যেন মনে করে দিচ্ছে তরুণ বয়সের স্মৃতি । অনেক পরিবার ও সমাজে অবহেলিত প্রবীণদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রবীণ ব্যক্তিরা তাদের অধিকার নিয়ে পরিবার ও সমাজে মাথা উচু করে বাঁচতে পারেন সেই জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।  দেশ দিকে দিন দিন আরো উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই উন্নয়ন কাউকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। তাই পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তিদের সামনের সারিতে রেখে কাজ করতে হবে।

মঘাদিয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী নুর হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিজামপুর কলেজের সাবেক অধ্যাপক আতিকুর রহমান খাঁন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. শাহ আলম, সদস্য মাস্টার শাহ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল গনি, মঘাদিয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যা চৌধুরী নাজমুল, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হালিম মাস্টার, মঘাদিয়া ইউনিয়ন সাবেক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর লাতুমিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল পাশা চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার বলেন, আজ যারা প্রবীণ তারা সারা জীবন সমাজ ও  দেশের পেছনে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। তাই আমরা আজ সহজে সবকিছু সুন্দর উপভোগ করতে পারি। তাই প্রবীণ ব্যক্তিদের অবদান কোনো ক্রমেই ভুলা যাবে না বরং আরো  বেশী সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, বরাবরই আমি ব্যতিক্রম কিছু করতে পছন্দ করি। তারই ধারাবাহিকতায় আমার ইউনিয়নের প্রবীণদের নিয়ে এই মিলন মেলার আয়োজন। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিতা বজায় থাকবে বলে জানান তিনি।

আরো খবর