শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সফল হওয়া ৪ অদম্য নারীকে দেওয়া হয়েছে জয়িতা সম্মাননা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিরসরাই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় থেকে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কর্মসূচীর আওতায় সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে আয়েশা সুলতানা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে রাশেদা আক্তার, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন ক্যাটাগরিতে শেখ খাদিজা খানম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে ফারজানা আফরোজ জয়িতা সম্মাননা পান।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী:
২০১৮ সালে ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে সিরিয়াল নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় ক্রিয়েটিভ আইটি’র নামফলকে চোখ আটকে যায় শেখ খাদিজা খানমের। কৌতুহলবশত সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে। ছোট বেলা থেকেই প্রযুক্তির বিষয়ে তার প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো। পরবর্তীতে খাদিজা ক্রিয়েটিভ আইটি থেকে কাজ শিখে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ক্যানভো প্রোর কাজের পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সোশ্যাল মিডিয়া যেমন- ফেইসবুক, লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, কোরা, ইউটিউব, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি পেইড মার্কেটিং এ সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়া ভিডিও এডিটিংয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল রিল এবং ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার আপডেটার ইফেক্ট, প্রিমিয়ার প্রো, ডাভিঞ্চি রিসলভে খাদিজার রয়েছে দক্ষতা। খাদিজার স্বামী কাজী আবুল হোসেন প্রবাসে থাকাকালীন ফুড কর্নার এর ব্যবসা করতেন। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ফুড কর্নারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার স্বামী দেশে চলে আসেন। সেই সময় খাদিজার পরিবার আর্থিক বিপন্নতার সম্মুখীন হলে তার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজটি তার জন্য বয়ে আনে আর্শীবাদ। সেই সময় তিনি লিংকডইন নিয়ে কাজ করে ৩০০ ডলার অর্জন করেন যা ছিল তার প্রথম অর্জন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের লার্নিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এলইডিপি) একটি বেসিক কোর্সও সম্পন্ন করেন। তিনি নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। চলতি বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনে দেশের সেরা ১৫ জন ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। বর্তমানে তার আয় ৩ লক্ষ টাকা। খাদিজা এ পযর্ন্ত ৪০ জন ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
শেখ খাদিজা খানম উপজেলার ১০নং মিঠানালা ইউনিয়নের মিঠানালা গ্রামের সমু কাজী বাড়ীর কাজী আবুল হোসেন এর স্ত্রী। তার বাবা শেখ মাওলানা মহিউদ্দিন ছিলেন আবু তোরাব ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক। ৮ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ম। উপজেলার মধ্যম মায়ানী গ্রামের হামিদ মুহুরী বাড়ীতে বেড়ে উঠেন তিনি। মধ্যম মায়ানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি, আবু তোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক, নিজামপুর সরকারী কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ হতে বাংলায় স্নাতক করেছেন দেশসেরা ফ্রিল্যান্সার শেখ খাদিজা খানম।
দেশসেরা ফ্রিল্যান্সার শেখ খাদিজা খানম বলেন, স্বামীর আন্তরিক অবদান, ত্যাগ, পরিশ্রম এবং একনিষ্ঠ সহযোগিতা তার এতদূর আসার পেছনের কারণ। খাদিজার স্বপ্ন সংসারের অবহেলিত নারীদের কাজ শিখিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।
সফল জননী নারী:
সফল জননী ক্যাটাগরিতে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন আয়েশা সুলতানা। তিনি চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের সাবেক ৭বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক গৃহায়ণ গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী। সংসার জীবনে আয়শা সুলতানা ৩ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জননী। তার জেষ্ঠ পুত্র সাবেদুর রহমান সমু পারিবারিক ব্যবসার পাশাপাশি কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ দায়িত্ব পালন করছেন। মেঝ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল দেশ-বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে পারিবারিক ব্যবসার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে সংসদ সদস্য ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাহবুব উর রহমান রুহেল দেশের ১ম আন্তর্জাতিক মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা, দেশের প্রথম সারির আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বেইজ লিমিটেড এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও কক্সবাজার সায়মন বিচ রিসোর্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং এর চেয়ারম্যান, গ্যাস লাইন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গ্যাসমিন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ নানান প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছোট ছেলে আমিন উর রহমান রুমেল খ্যাতিমান ফেটোগ্রাফার। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন তিনি। একমাত্র মেয়ে সামিনা আজম রিপা আমেরিকায় একটি হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত চার সন্তানের জননী হিসাবে তিনি ‘সফল জননী ক্যাটাগরিতে জয়িতা’ সন্মাননা পেয়েছেন।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী:
২০০৯ সালে স্বামী রিদোয়ান কবির প্রকাশ মিয়া সাব এর মৃত্যুর পর রাশেদা আক্তার মুন্নি স্বামীর পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায় মনোযোগ দেন। ব্যবসায় উন্নয়নের সাথে সাথে তিনি বহুমুখী সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে মরহুম রিদোয়ান কবিরের ছোট ভাই মো. সাইফুল ইসলামের সাথে তিনি দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ সন্তানের জননী। রাশেদা আক্তার বর্তমানে উপজেলার জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতি বছর কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে সেমিনার করেন যেখানে মূলত বাল্য বিবাহের অপকারিতা, যৌতুক, নারী নির্যাতন রোধ ও ইভটিজিং এর মত বিষয়াবলীর নেতিবাচক দিকসমূহের প্রতি আলোকপাত করা হয় এবং সচেতনতামূলক দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। রাশেদা আক্তার ২০১২ সাল থেকে লায়ন’স ক্লাব, খুলশীতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্ত আছেন। এই ক্লাবের মাধ্যমে মহিলা ও শিশুদের বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা, ব্লাড গ্রুপিং ও খৎনা করানো হয়। যে কোনো মানুষের আকস্মিক বিপর্যয়ে এই ক্লাব এর মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন।
এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিবাহযোগ্য কন্যার পিতাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন বিয়ের জন। অস্বচ্ছল ও গৃহহীন লোকজনের গৃহ নির্মাণে সাহায্য করেন। স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘প্রজন্ম মিরসরাই’ এর মাধ্যমে নানা ধরনের সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকেন। প্রতি ঈদে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য খাবার বিতরণ এর ব্যবস্থা করেন। বিনামূল্যে দরিদ্র মেয়েদের কলেজে পড়ার সুযোগ দেন। ‘নয়া দালান’ রাশেদা আক্তার এর একটি গবেষণাধর্মী সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে মিরসরাই এর প্রত্যন্ত প্রান্তে সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত ও দুঃস্থ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ‘দুর্বার’ নামক সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আছেন, যে সংগঠন এর কাজ হল সমাজ সেবা করা। এভাবেই তিনি সমাজের বঞ্চিত জনগোষ্ঠির কল্যাণে সমাজসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। রাশেদা আক্তার মুন্নি ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের বিএফ শাহীন কলেজ থেকে ১৯৯২ সালে এসএসসি, মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকত্তোর সম্পন্ন করেন।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী:
ফারজানা আফরোজ ছিলেন ৫ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। ১৪ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়ে যায়। তার বাবা মৃত শাহ আলম ছিলেন বেকার আর মাতা মমতাজ বেগম শিলেন স্কুল শিক্ষক। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী ফারজানাকে শারিরীকভাবে অত্যাচর ও মারধর করতো। তার স্বামী ছিলো মাদকাসক্ত। সে প্রতি রাতে নেশা করে এসে ফারজানাকে মারধর করতো। সে ফারজানার পায়ের রগ কেটে দেয় এবং গরম লোহা দিয়ে তার হাতের আঙ্গুল ছিদ্র করে দেয়। গর্ভকালীন সময়েও তার স্বামী তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৪ সন্তানের মা হন। সংসার জীবনে ১৫ বছরে স্বামীর আচরণগত কোন পরিবর্তন না হওয়ায় বাবার সাথে পরামর্শ করে ২০০৮ সালে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসেন ফারজানা। পরবর্তীতে তিনি সেলাই, কারচুপি এবং কম্পিউটার ট্রেনিং নেন। ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে ‘সিয়াম সুপিরিয়র’ গার্মেন্টেসে প্রথমে হেলপার ও পরে সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তীতে বায়ারদের যৌন নির্যাতন ও যৌন প্রস্তাবে কাজ ছেড়ে দেয়। সেখান থেকে আন্দরকিল্লা স্টাইলিস্ট বিউটি পার্লারে কাজ নেয়। সেখানেও নানামুখী নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কাজ ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেন পার্লারের কাজ শিখবে, কিন্তু তার কাছে পর্লারের প্রশিক্ষণ নেয়ার মত টাকা ছিল না। তার দুঃসম্পর্কের এক ভাইয়ের বউয়ের পার্লার ছিল, সেই সুবাধে তিনি ঐ ভাইয়ের বাসায় কাজ নেন এবং বাসার কাজের বিনিময়ে পর্লারের কাজ শিখার সুযোগ পান। এভাবে পার্লারের কাজ শিখেন। ২০১২ সালের দিকে উপজেলার আবু তোরাব বাজারে একটা পার্লার বিক্রি হওয়ার খবর পেয়ে বাবার মাধ্যমে ঋণ করে টাকা নিয়ে পার্লারটি কিনে ফেলেন। পার্লারটি চালু করার পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম বছরেই তিনি ঋণের সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হন। এরপর পার্লারের পাশাপাশি তিনি লেডিস আইটেমের শো-রুম দেন। তার দোকানে বর্তমান পুঁজি প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
দোকানের আয় দিয়ে তিনি তার চার সন্তানের লেখাপড়া করিয়েছেন। তার বড় ছেলেকে এইচএসসি পাশের সৌদি আরব পাঠান। সেখানে সে ভালো চাকুরী করছে। মেঝ ছেলে ডিগ্রি পাশ করে পোল্ট্রি খামারের প্রশিক্ষণ নিয়ে পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা করছে। বড় মেয়ে ফেনী সরকারী কলেজে গণিত বিভাগে অনার্সে ২য় বর্ষে পড়ছে। আর ছোট মেয়ে মিরসরাই ডিগ্রী কলেজে ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত। ছোট মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বুটিক্স, সেলাই, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ব্রাক থেকে নারী উদ্যোক্তার ট্রেনিং নিয়েছে। তার নকশি কাঁথার ব্যবসা আছে, পাশাপাশি সে মায়ের দোকান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।
বর্তমানে ফারজানা সাবলম্বী, তার আর কোন পিছুটান নেই। ছেলে মেয়ে নিয়ে তিনি বর্তমানে সুখে আছেন। এক সময় স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে অসহায় জীবন যাপন করেছেন ফারজানা। চার সন্তান নিয়ে অনেক দুঃখে কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন, কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের ইচ্ছা শক্তি ও বাবার অকৃত্রিম সহযোগীতার বলে তিনি আজ প্রতিষ্ঠিত। আজ তার কোন অভাব নেই। ভবিষ্যতে তিনি অসহায় ও অবহেলিত নারীদের উৎসাহ দেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহের আফরোজ বলেন, শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ব্যক্তি জীবনে সফল হয়ে আয়েশা সুলতানা, রাশেদা আক্তার মুন্নি, শেখ খাদিজা খানম, ফারজানা আফরোজ জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন। জীবনযুদ্ধে সংগ্রাম করে আজ তারা প্রতিষ্ঠিত। তাদের দেখে সমাজের অন্য নারীরাও প্রতিষ্ঠিত হবেন আশা করি।